সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অর্থাৎ AI-এর সৌজন্যে এখন দিনকে রাত, নদীকে সমুদ্র আর রোনাল্ডো-মেসিদের ভারতীয় বানিয়ে ফেলা যাচ্ছে। এককথায় যেকোনও অসম্ভবকে সম্ভব করে দিচ্ছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু এর ভাল দিকের মতো খারাপ দিকও রয়েছে। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই প্রতারণার ফাঁস পাতছে স্ক্যামাররা।
ব্যাপারটা আর একটু খোলসে করে বলা যাক। ডিপফেক ভিডিও (deepfake videos) কল ব্যবহার করে ইউজারদের ফাঁদে ফেলচে স্ক্যামাররা। এরপর জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। ভাবছেন, যে কেউ আপনার থেকে টাকা চাইলেই আপনি কেন দিতে রাজি হবেন? এখানেই টুইস্ট। আসলে আপনি ভাববেন আপনার পরিচিতই কেউ টাকা চাইছে। কারণ AI ব্যবহার করে আপনার বন্ধু কিংবা পরিচিতর মুখ তৈরি করে স্ক্যামাররা আপনার সামনে তুলে ধরছে। ফলে আপনি নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছেন, যিনি টাকা চাইছেন তাঁকে আপনি চেনেন। আর এই ফাঁদে পা দিয়েই নিঃস্ব হচ্ছেন ইউজাররা।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরির দুর্নীতিতে আদালত চোখ বুজে থাকতে পারে না’, ববিতার মামলায় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের]
কেরলের ৭২ বছরের এক বৃদ্ধ এই ফাঁদে পা দিয়ে ৪০ হাজার টাকা খুইয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ডিপ ভিডিও কলের মাধ্যমে চাওয়া হচ্ছে টাকা। তিনি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ পান তিনি। ভাবেন সেই পরিচিত বন্ধুই মেসেজটি করেছেন। এমনকী তাঁর কাছে ভিডিও কলও আসে। বৃদ্ধ টেরও পাননি যে সবটাই AI-এর কারসাজি। সেই বন্ধু তাঁকে বলেন, যে চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। যেমন দ্রুত পাঠানো হয়। আর তাতে বিশ্বাস করেই ৪০ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে দেন তিনি।
অনলাইনে খুব সহজেই ডিপফেক ভিডিও বানানো শিখে নেওয়া যায়। তাও আবার নিখরচায়। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছে ইউজারদের। দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, বন্ধুর পরিচয়ে এধরনের ভিডিও কল সাধারণত ৩০ সেকেন্ড পরই কেটে যাচ্ছে। ভিডিও কলে স্ক্যামার এতটাই ক্লোস-আপে থাকছে, যে তাকে ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। এমনটা হলে টাকা দেওয়ার আগে বন্ধুকে সরাসরি ফোন করে নিন।