সুকুমার সরকার, ঢাকা: সোশ্যাল মিডিয়াই যেন কাল। কম সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বাসনাই কাড়ল প্রাণ। টিকটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে সব শেষ। অকালেই প্রাণ গেল কিশোরীর। বাংলাদেশের (Bangladesh) নোয়াখালির চাটখিল উপজেলার ঘটনা।
বাংলাদেশের নোয়াখালির চাটখিল উপজেলার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার। বছর এগারোর ওই কিশোরী শিবপুর সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। নিত্যদিন টিকটক (TikTok) ভিডিও তৈরি করাই নেশা তার। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুলছাত্রীটি টিকটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ভিডিও তৈরি করছিল। আলমারির উপর উঠে দাঁড়িয়ে সিলিং থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভিডিও তৈরি করছিল সে। আচমকা সেই সময় পা ফসকে যায়। তার ফলে গলায় ফাঁস লেগে যায় তাঁর।
[আরও পড়ুন: জল্পনাতেই সিলমোহর, বাংলা ছেড়ে ক্রিকেটার ও মেন্টর হিসেবে ত্রিপুরাতে সই ঋদ্ধিমানের]
পরিবারের কেউই ঘটনাটি প্রথমে খেয়াল করেননি। বিকেলে সানজিদার পরিবারের লোকজন ঘরে গিয়ে অবাক হয়ে যান। তাঁরা দেখেন, আলমারির পাশ থেকে ঝুলতে দেখা যায় সানজিদাকে। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মাত্র ১১ বছর বয়সি কিশোরীর মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউই। শোকে পাথর সানজিদার পরিবারের লোকজন। চোখের জলে ভাসছেন কিশোরীর মা। কিশোর-কিশোরীদের টিকটকের প্রবণতা দূর করতে অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নইলে এমন অঘটন আরও ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।