সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ২। বেঙ্গালুরুতে ইসরোর ট্র্যাকিং সেন্টারে বসে সেই ঐতিহাসিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে থাকবে আরও ৭৪জন পড়ুয়া। সেই তালিকায় রয়েছে বর্ধমানের পীরবাহারামের বাসিন্দা উসরা আলম। সুযোগ পেয়ে আপ্লুত বাংলার মেয়ে।
[আরও পড়ুন: রামের পর বাঁকুড়ায় বলরাম পুজোর আয়োজন বিজেপির, পালটা খোঁচা তৃণমূলের]
কীভাবে সুযোগ পেল উসরা আলম? সম্প্রতি ইসরো মহাকাশ সংক্রান্ত একটি অনলাইন ক্যুইজের আয়োজন করে। তাতেই আর পাঁচজনের মতো অংশ নেয় বর্ধমানের পীরবাহামের নবম শ্রেণির ছাত্রী উসরা আলম। ১০ মিনিটে মোট ২০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল। মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নাম নথিভুক্ত করে সে । একমাস পর গত ২৯ আগস্ট উসরার মায়ের মোবাইল নম্বরে হঠাৎ ইসরো থেকে ফোন আসে। মা প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ওই ব্যাপারে জানতেন না। অপরপ্রান্ত থেকে যখন বলা হয়, আপনার মেয়ে নির্বাচিত হয়েছে তখন তাঁর বিস্ময় যেন আরও বেড়ে যায়। ফোন রাখার পর মেয়ের সঙ্গে কথা বলেই পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন তিনি। জয়ী প্রতিযোগী হিসাবেই প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ২-এর চাঁদের মাটিতে পাড়ি জমানোর দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে উসরা। স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা ছাড়া কোনওভাবেই এমন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকার সুযোগ পেত না বলেই স্বীকার করে নিয়েছে আপ্লুত ছাত্রী স্বয়ং।
[আরও পড়ুন: চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান ২, সফলভাবে বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রম]
উসরার বাবা হাসিব আলম প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি বলেন,“মেয়ে আমার ছোট থেকে পড়াশোনায় ভাল। প্রতি বছরই ভাল রেজাল্ট করে। আমি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি। তবে ওর মা পড়াশোনায় সাহায্য করেন। শিক্ষকরা খুবই ভালবাসেন। মেয়ে ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে ভেবেই আনন্দিত।”
এমন সুযোগ পেয়ে আপ্লুত উসরা। উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা। খুশি এলাকার বাসিন্দারা। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং উসরার সহপাঠীরাও উচ্ছ্বসিত। ৬ সেপ্টেম্বর সকালবেলা বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছেন উসরা আলম ও তার বাবা-মা। যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সমস্ত খরচ বহন করছে ইসরো।
The post চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান ২, অবতরণের সাক্ষী থাকবে বাংলার মেয়ে উসরা appeared first on Sangbad Pratidin.