সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) করোনার সংক্রমণ কমে আসায় আজ থেকে উঠে গেল সমস্ত বিধিনিষেধ। মঙ্গলবার থেকেই খুলে গেল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে দু’ডোজ টিকা (Corona vaccine) নেওয়া শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। আর ১৩ জানুয়ারি থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, যা পরে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে এ বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২০ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০ টি নির্দেশিকা দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সব শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ (COVID-19) টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারাই শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাসরুমের পড়াশোনায় অংশ নিতে পারবে। প্রবেশপথে সব শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, রাজ্যে বাড়ছে স্নাতকোত্তরের আসন]
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনলাইন বা ভারচুয়াল মাধ্যমে পড়াশোনা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। শিক্ষার্থীদের জন্য যা যা অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেসব যথারীতি অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত একটি ঘরে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা-সহ আইসোলেশন রুম হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখায় নিয়মিত নজর দিতে হবে।
তবে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানে আসা সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক (Mask) পরতে হবে। সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা অধিক যাতে না হয়, তা দেখা।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলেটি মুসলিম বলে এত রাজনীতি’, আনিস খান হত্যাকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের]
তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা (Coronavirus)সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল। এই ছুটি ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু হয়।