সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিকায় এক গ্রহাণু আছড়ে পড়তে চলেছে চাঁদের বুকে। তেমন সম্ভাবনাই দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার এর দেখা পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তখন মনে করা হয়েছিল পৃথিবীতে অ্যাস্টরয়েড ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামের গ্রহাণুটির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ১ শতাংশ। কিন্তু পরে দেখা যায় পৃথিবীর সঙ্গে সেটির সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৫৩ থেকে ৬৭ মিটার ব্যাসের ওই গ্রহাণুর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩.৮ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশ।
গত মাসে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ফের গ্রহাণুটিকে দেখতে পায়। কেননা সেটি এর আগে সূর্যের পিছনদিকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সেটি সেখান বেরিয়ে আসায় দৃশ্যমান। ওই টেলিস্কোপের নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরার লেন্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য খতিয়ে দেখেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যান্ডি রিভকিনের নেতৃত্বাধীন এক গবেষক দল। সেই দলেরই দাবি, ২০২৮ সালের মধ্যে আরও তথ্য হাতে আসবে। তখন গ্রহাণুটির সঙ্গে চাঁদের সংঘর্ষের বিষয়টি আরও ভালো করে বোঝা যাবে।
তবে সত্যিই যদি চাঁদের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়, তাহলেও পৃথিবীবাসীর এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেননা তার কোনও প্রভাব পৃথিবীর উপরে পড়বে না। তবে চাঁদের মাটিতে সেটি আছড়ে পড়লে ৪০০ মিটারের মতো ব্যাসের বড় গর্ত তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেটা একেবারে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।
