সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিল ছ’মাসের। বাড়তে বাড়তে অভিযানের মেয়াদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে আট বছর। এই আট বছর নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছে ইসরোর (ISRO) মঙ্গলযান। নিজের আয়ুর তুলনায় ১৬ গুণ বেশি সময় ধরে লাল গ্রহ (Mars) থেকে ইসরোকে তথ্য পাঠিয়েছে সে। কিন্তু বিগত কিছু সময় ধরে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক গ্রহণ।
জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনে পরপর গ্রহণ হয়েছে লালগ্রহে। তার জেরে মঙ্গলযানের ব্যাটারি ‘রিচার্জ’ (Recharge) করা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই ব্যাটারি দেহ রেখেছে। মঙ্গলযানের সঙ্গে এরপরই যোগাযোগ ছিন্ন হয় ইসরোর। আর তাই, দীর্ঘ আট বছর পর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযান অভিযান।
[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষায় আরও শক্তিশালী ভারত, রাজনাথ সিংয়ের হাত ধরে বায়ুসেনায় যোগ দিল ‘প্রচণ্ড’]
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের নভেম্বরে মহাকাশ যাত্রা করে ISRO-র মঙ্গলযান। কম খরচে এই মঙ্গল মিশন-কে বাস্তবায়িত করে বিশ্বকে তাক তাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। গোটা প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা। বাস্তবিকভাবেই দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে নির্ধারিত আয়ুর ১৬ গুণ বেশি সময় ধরে কাজ করেছে মঙ্গলযান। তবে সৌরশক্তি চালিত ব্যাটারিতে কাজ করছিল মঙ্গলযান।
[আরও পড়ুন: মহাষ্টমীর দুপুরে ছন্দপতন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ হল বর্ধমানের দুটি বড় মণ্ডপ]
বিজ্ঞানীদের দাবি, গত কয়েকদিনে পরপর গ্রহণ হয়েছে লালগ্রহে। আর তার জেরেই রিচার্জ করা হয়নি মঙ্গলযানের ব্যাটারি। ইসরো সূত্রে খবর, মঙ্গলযানের ব্যাটারি (Battery) রিচার্জ না হলে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বেশি কাজ করতে পারে না। দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টার গ্রহণের জেরে তাই শেষপর্যন্ত কাজ বন্ধ করতে হয়েছে মঙ্গলযানকে। পরপর গ্রহণ না হলে মঙ্গলযান আরও কিছুদিন কাজ চালিয়ে যেতে পারত বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা করেছিল মঙ্গলযান। এবার তার আয়ু শেষ হতে বসেছে।