shono
Advertisement

মৌসুনি দ্বীপে স্থায়ী কংক্রিটের নদীবাঁধ চায় হাই কোর্ট, মানুষের স্বার্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্রও

সেতু নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে জানিয়েছে আদালত।
Published By: Paramita PaulPosted: 08:14 PM Jun 14, 2025Updated: 08:14 PM Jun 14, 2025

গোবিন্দ রায়: নদীভাঙন থেকে বিপর্যয় রুখতে সুন্দরবনের মৌসুনি দ্বীপে স্থায়ী কংক্রিটের নদীবাঁধ চায় কলকাতা হাই কোর্ট। এই সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলায় শুক্রবার এমনই মত বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত জানিয়েছে, অবিলম্বে এনিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, মৌসুনি দ্বীপের মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থে কংক্রিটের নদী বাঁধের পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও জনস্বার্থ মামলায় একাধিক আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী। তাতে সেতু নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত দ্বীপ হল মৌসুনি। কলকাতার কাছে পিঠে পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম ডেসটিনেশনও এটি। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ঘূর্ণিঝড় তছনছ করে দিয়েছে এই দ্বীপকে। ফি-বছর নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সুন্দরবনের গ্রামের পর গ্রাম। বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রে ঘর ছাড়া মানুষের ঠাঁই হলেও, প্রতিবছরই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়তে হয় সুন্দরবনের এই দ্বীপের বাসিন্দাদের। মৌসুনি দ্বীপের স্থানীয়দের ক্ষতির প্রেক্ষিতে একাধিক আরজি নিয়ে ২০২১ সালে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী। দীর্ঘ চার বছর ধরে ওই মামলা চলে ৷ অবশেষে হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার নিস্পত্তি করে দেয়।

ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব না পড়লে একটি সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা বিবেচনা এবং দ্বীপটি সার্বিক অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী বলেন, "মৌসুনি দ্বীপের স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন হলে মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। যদি সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করা যায় তাহলে যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠবে মৌসুনি দ্বীপ।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement