সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযানের পর গগনযান। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সবচেয়ে বড় প্রকল্প। মহাকাশে নভচর পাঠানোই ‘পাখির চোখ’। ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে চার মহাকাশচারীর নাম। যদিও সোমবার ইসরোর তরফে জানানো হল, নিরাপত্তার কারণে ‘গগনযান মিশন’ ২০২৫ সালে হচ্ছে না। পরিবর্তে ২০২৬ সালে হবে এই অভিযান। সময় বদলের বিষয়টি জানালেন খোদ ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে সর্দার পটেল স্মারক বক্তৃতা দেন ইসরো চেয়ারম্যন এস সোমনাথ। সেখানে তিনি জানান, মহাকাশে নভচর পাঠানোর ইসরোর ঐতিহাসিক প্রকল্পটি নিরাপত্তা তথা অভিযানের সাফল্য নিশ্চিত করতে পিছোন হয়েছে। ২০২৫ সালের বদলে ওই অভিযান হবে ২০২৬-এ। এদিন গগনযান ছাড়াও 'চন্দ্রযান ৪' এবং 'নিসার' প্রকল্পের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন সোমনাথ। ‘চন্দ্রযান-৪’ ২০২৮ সালে রওনা হবে। অন্যদিকে ২০২৫ সালে হতে চলেছে ভারত-আমেরিকার যৌথ অভিযান ‘নিসার’। এর বাইরে জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সার সঙ্গেও একটি যৌথ অভিযান করতে চলেছে ইসরো। যেটির নাম হবে ‘চন্দ্রযান-৫’। যদিও এই মিশনের সময় জানানো হয়নি।
এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত যে চারজন মহাকাশচারী অন্তরীক্ষে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা সুনীতা উইলিয়ামস ও কল্পনা চাওলা। কিন্তু গগনযান মিশনের সমস্ত নভচরই পুরুষ। তারা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই মিশন সফল হলে ভারতই হবে চতুর্থ দেশ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পর সফল ভাবে নভশ্চরদের মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, চল্লিশ বছর আগে ১৯৮৪ সালে সোভিয়েত মিশনের অংশ হয়ে পাড়ি দেন ভারতের রাকেশ শর্মা।