সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ অভিযান ‘মিশন গগনযান’ (Mission Gaganyaan) এগোল আরও একধাপ। অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘বিকাশ’ ইঞ্জিন তৃতীয়বারের পরীক্ষাতেও সাফল্যের মুখ দেখল। এই ইঞ্জিনের সাহায্যেই মহাশূন্যে ভেসে যাবে ‘গগনযান’। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মহেন্দ্রগিরিতে শেষতম পরীক্ষায় টানা ২৪০ সেকেন্ড অর্থাৎ ৪ মিনিট ধরে ইঞ্জিনটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। তা সফল হওয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল এই অভিযান। টুইট করে ইসরো এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, মহাকাশ বাণিজ্যের অন্যতম কর্ণধার স্পেস এক্সের এলন মাস্ক।
২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসে নভোচর-সহ মহাকাশ অভিযানের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয় দেশের মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠান ইসরোকে (ISRO)। এর আগে ইসরোই চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করেছিল। তবে যানটি চাঁদের মাটিতে অবতরণের আগেই ভেঙে পড়ে। ফলে সে যাত্রায় ব্যর্থ হয়েছিল এই মিশন। তারপরও অবশ্য ইসরো এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মেধার প্রতিই ভরসা রেখেছেন মোদি। সেইমতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে দেশের চারজন নভোচর ‘মিশন গগনযান’ প্রকল্পে অংশ নিয়ে মহাশূন্যে ভেসে যাওয়ার জন্য রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছেন। এবার বিকাশ ইঞ্জিনের তৃতীয়বার সাফল্যের দৌলতে গগনযানের প্রস্তুতি আরও এগিয়ে গেল।
[আরও পডুন: আলু নয়, মঙ্গলের চাঁদ! লালগ্রহের উপগ্রহের ছবি পোস্ট করে অবাক করল NASA]
ইসরোর তরফে টুইট করে ‘বিকাশ’-এর সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। এটি লিকুইড প্রপেলেন্ট-সমৃদ্ধ (liquid propellant) ইঞ্জিন। এর সাহায্যেই মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। ‘বিকাশ’-এর পারফরম্যান্সও বেশ সন্তোষজনক বলে জানাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, পরীক্ষা চলাকালীন যা প্রত্যাশা ছিল, লিকুইড প্রোপালশন ইঞ্জিনটি তার প্রতিটিতেই পাশ করে গিয়েছে। তবে এর দক্ষতা আরও একটু বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ‘বিকাশ’-এর এই সাফল্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন স্পেস এক্সের কর্ণধার এলন মাস্ক। ভারতের মতো দেশ স্রেফ মেধার উপর ভর করে এত বড় এক লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার যে সাহস দেখিয়েছে, তাতে আপ্লুত তিনি। ‘মিশন গগনযান’-এর সাফল্য কামনা করেছেন এলন মাস্ক।