shono
Advertisement

মহাকাশ গবেষণায় বাণিজ্যিকীকরণের পথে নাসা, চাঁদের নমুনা সংগ্রহের জন্য কী পুরস্কার জানেন?

পুরস্কারমূল্য সামান্য হলেও উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে।
Posted: 04:17 PM Dec 04, 2020Updated: 04:21 PM Dec 04, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় নিয়ে ব্যবসার দরজা আরও প্রশস্ত হচ্ছে। সৌজন্যে অবশ্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগানো হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল নাসার তরফে। এবার রীতিমতো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংস্থাকে নির্বাচনের পথে হাঁটল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য নির্বাচিত সংস্থাকে মাত্র ১ ডলার পুরস্কারমূল্য দিচ্ছে নাসা! এই মূল্যের কথা শুনে সংস্থার নভোশ্চররা মুষড়ে পড়লেও বাণিজ্য জগতের তাবড় বিশেষজ্ঞদের মত, অর্থমূল্যটা কোনও ব্যাপার নয়। নাসা যে পদ্ধতিতে মহাকাশ ক্ষেত্রকে বাণিজ্যিকীকরণের কথা ভেবেছে, সেই উদ্যোগ অতি চমৎকার।

Advertisement

মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ হয়েছে আগেই। SpaceX’এর একাধিকবার সফল মহাকাশ অভিযান তার বড়সড় উদাহরণ। এবার তাকে কাজে লাগিয়েছে ব্যবসার পথ আরও চওড়া করছে নাসা। চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য চারটি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ১ ডলারের বিনিময়ে তাদের দিয়ে কাজ করানো হবে। নাসার নির্বাচিত সংস্থা কলোরাডোর লুনার আউটপোস্ট, ক্যালিফোর্নিয়ার মাস্টেন স্পেস সিস্টেম, টোকিওর একটি সংস্থা। লুনার আউটপোস্টকেই প্রথম কাজের ভার দিয়ে চাঁদে পাঠাতে চায় নাসা। সংস্থার এক মুখপাত্রের কথায়, ”এই সংস্থাগুলো নমুনা সংগ্রহ করে আমাদের এনে দেবে। এছাড়া তারা অন্যান্য যা কিছু হাতের কাছে পাবে, তাইই নিয়ে আসবে। সেসব আমরা পরীক্ষা করে দেখব।”

[আরও পড়ুন: মঙ্গলের মাটির গভীরে ছিল প্রাণের অস্তিত্ব! চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের]

এই পরীক্ষায় পাশের উপরও নির্ভর করছে পুরস্কারপ্রাপ্তি। জানা গিয়েছে, অভিযানের আগে ১০ শতাংশ, নমুনা সংগ্রহের পর ১০ শতাংশ এবং বাকি ৮০ শতাংশ সংস্থাকে দেওয়া হবে তাদের নমুনা নাসার পরীক্ষায় খাঁটি প্রমাণিত হলে, তবেই। এভাবে ১ ডলার পুরস্কারমূল্য ধাপে ধাপে পাবে সংস্থা। লুনার আউটপোস্টের সিইও জাস্টিন সাইরাস জানিয়েছেন, ২০২৩সাল নাগাদ তাঁরা অভিযান শুরু করবেন। চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে তাঁদের। তাঁর মতে, মহাকাশ অভিযানকে সাধারণত এতদিন যেভাবে দেখা হতো, নাসার এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির, যা ভবিষ্যতের জন্য ভাল। এক বিশেষজ্ঞের মতে, নাসা এই কাজের জন্য কতটুকু পুরস্কার দিচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এভাবে বাণিজ্যিকীকরণের রাস্তা খুলে দেওয়ার ফলে পৃথিবীর বাইরের সম্পদ মানুষের কাছেও সহজলভ্য হয়ে যাবে, এটাই বড় কথা।

[আরও পড়ুন: ভারতকে টেক্কা দিয়ে চাঁদে সফল অবতরণ চিনের চন্দ্রযানের, লক্ষ্য নুড়ি সংগ্রহ]

গত ২ তারিখ চাঁদ থেকে নিরাপদে নুড়ি সংগ্রহ করে ফিরছে চিনের চন্দ্রযান চেং’ ই-৫ (Chang’e-5)। কারও কারও মতে, এতেই নাকি নাসা খানিকটা তেতে উঠেছে। বাড়তি তৎপরতা দেখা দিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহে। আর তাই তড়ঘড়ি প্রতিযোগিতা, পুরস্কারমূল্যের কথা ঘোষণা করে অভিযান ত্বরান্বিত করতে চাইছে। আসলে সবক্ষেত্রেই যে প্রতিযোগিতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement