সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের তুলনায় অনেক দেরিতে চাঁদের অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। কিন্তু ভারতের চন্দ্রযান ৩এর (Chandrayaan 3) আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চলেছে রুশ মহাকাশযান লুনা ২৫ (Luna 25)। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবারই চাঁদে পৌঁছে যাবে রাশিয়া। তার দু’দিন পর অর্থাৎ বুধবার চাঁদে পা রাখবে ভারতের চন্দ্রযান ৩। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আগে যাত্রা শুরু করেও কেন রাশিয়ার পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছবে ভারত?
এর নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। প্রথমত, দুই দেশের চন্দ্রযান তৈরির প্রক্রিয়া একেবারেই আলাদা। জানা গিয়েছে, লুনা ২৫-এর ওজন অনেক কম। যন্ত্রপাতির ওজন এবং ওজন বহনের ক্ষমতা অনেক কম রয়েছে রুশ চন্দ্রযানের। মাত্র ১৭৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারে লুনা ২৫। সেখানে চন্দ্রযান ৩ সবমিলিয়ে ৩৮০০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। ওজনের এই তারতম্যের কারণেই অপেক্ষাকৃত হালকা লুনা ২৫ অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের নতুন সংবিধান চাই’, বিতর্কিত মন্তব্যের পর সাফাই মোদির উপদেষ্টার]
ভারতের চন্দ্রযানের তুলনায় লুনা ২৫-এর জ্বালানি মজুত করার ক্ষমতা অনেক কম। সেই জন্যই চাঁদের কক্ষপথে খুব বেশি না ঘুরে সোজাসুজি চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চলেছে রুশ চন্দ্রযান। কিন্তু ভারতের জ্বালানি অনেকটা বেশি পরিমাণে মজুত থাকবে। মূলত চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়েই খানিকটা ঘুরপথে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ভারতের চন্দ্রযান। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খরচ কমানোর কারণেই বেশি জ্বালানি থাকা সত্ত্বেও মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। তার প্রভাবেই খানিকটা ধীর গতিতে চলছে চন্দ্রযান ৩।
রাশিয়ার তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে লুনা ২৫। স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে রুশ চন্দ্রযান। বুধবার থেকে পাঁচদিন চাঁদের কক্ষপথে কাটানোর পর সোমবার সফট ল্যান্ডিং করবে লুনা ২৫। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ল্যান্ডার বিক্রম তার প্রপালশন মডিউল থেকে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। চাঁদের মাটিতে নামার জন্য যে কক্ষপথে ঢোকার দরকার, আপাতত সেই কক্ষপথের দিকে যাত্রা শুরু করেছে ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম।