সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৩ সালেই মহাকাশে (Space) মহিলা নভোশ্চর পাঠাবে সৌদি আরব (Saudi Arabia)। এই প্রথম ইসলামিক এই দেশ কোনও মহিলাকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। উল্লেখ্য, মহাকাশযুদ্ধে রাশিয়া ও আমেরিকার একচেটিয়া আধিপত্যকে খর্ব করতে মরিয়া চিন। সেই সঙ্গে এই তালিকায় নিজেদের স্থান উজ্জ্বল করতে চাইছে আরব দেশগুলিও। এহেন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত তাদের অতি রক্ষণশীল ভাবমূর্তিকেও বদলাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে এই ঘোষণা নতুন নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই সৌদি জানিয়ে দিয়েছিল, তারা মহাকাশে মহিলা মহাকাশচারী (Woman astronaut) পাঠাবে। তবে তখন জানা গিয়েছিল ২০৩০ সালে মহাকাশে অভিযান করতে চাইছে তারা। সৌদি স্পেস কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল সব ঠিক থাকলে মানব সভ্যতার উন্নতির লক্ষ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে। তাঁদের মধ্যে থাকবেন একজন মহিলা মহাকাশচারীও। কিন্তু এবার একধাক্কায় অনেকটাই এগিয়ে এল সেই সময়সীমা। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধেই হবে ওই অভিযান। সৌদির সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে রায়ানা বরনৌই নামের এক মহিলা মহাকাশচারী আলি আল-কারনি নামের এক পুরুষ নভোচারীর সঙ্গে মহাকাশে যাবেন।
[আরও পড়ুন: বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আচমকা হানা আয়কর দপ্তরের, বাজেয়াপ্ত কর্মীদের ফোন]
দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে থেকেছে রাশিয়া ও আমেরিকা। ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র এক অন্যতম আঙিনাই ছিল মহাকাশ। যার সূত্রে মহাকাশে প্রথম মানুষ, প্রথম নারী ও প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে তাদের জোরদার ধাক্কা দিয়েছিল আমেরিকা। সময় বদলেছে। মহাকাশে নয়া আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এগচ্ছে চিন। আরব দেশগুলিও সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা তৈরি করছে। এদিকে ভারতও শামিল রয়েছে এই লড়াইয়ে। চাঁদে মহাকাশযান নামাতে ব্যর্থ হলেও গগনযানকে ঘিরে আশাবাদী ইসরো। পাশাপাশি আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটিরও।