সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি কাজপাগল? অফিসের ডেস্কে ঘাড় গুঁজে নাগাড়ে কাজের সমুদ্রে ডুব দিয়ে বসে থাকেন? তাহলে জেনে রাখুন, চরম ভুল করছেন। কেবল যে এতে আপনার অবসাদ বাড়বে তাই নয়। আপনার কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, কাজের ফাঁকে ১০ মিনিটের ছোট্ট ব্রেকও কিন্তু কাজের মান অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাজের জায়গায় প্রবল পরিশ্রম করলেই বসকে খুশি করা যাবে, এমন ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা তার ঠিক উলটো কথাই বলছে। ‘প্লস ওয়ান’ নামের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের দাবি, অবসাদ থেকে বাঁচতে এবং কাজের মান বাড়াতে ছোট্ট ব্রেকের কোনও জুড়ি নেই। ২২টি ভিন্ন সমীক্ষায় মোট ২ হাজার ৩৩৫ জনের থেকে তথ্য জোগাড় করা হয়। ৮ থেকে ১০ মিনিটের ব্রেক নিলে পারফরম্যান্সে কতটা ফারাক পড়ে তা খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, মোট অংশগ্রহণকারীদের ৬৪ শতাংশ ওই ছোট্ট বিরতি নিয়েছিলেন। তাঁরা বাকিদের থেকে বেশি স্কোর করেছেন।
[আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বেশি গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বাংলায়, বলছে NCRB’র রিপোর্টে]
জানা গিয়েছে, সকলকেই নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল টাইপিং মেমরি টেস্ট, সিনেমা দেখা প্রভৃতি। দেখা যায়, যাঁরা বিরতি নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা বাকিদের থেকে অনেক ভাল পারফরম্যান্স করেছেন। গবেষকদের দাবি, ব্রেক না নিয়ে কাজ করে গেলে নতুন নতুন আইডিয়া আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়, ক্লান্তি চেপে বসে। তারই প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে।
কয়েকদিন আগেই বম্বে শেভিং কোম্পানির সিইও শান্তনু দেশপান্ডে দাবি করেছিলেন, ২২ বছরের তরুণ-তরুণীরা, যাঁরা সদ্য চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের উচিত দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করা। তাঁর মতে, যাঁদের বয়স কম তাঁদের এভাবেই পরিশ্রম করা উচিত। অন্য কোনও দিকে না তাকিয়ে একটানা কাজ করে যাওয়া উচিত। তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয় নেট ভুবনে। তিনি যে কতটা ভ্রান্ত কথা বলেছেন, তাই যেন ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল সাম্প্রতিক গবেষণায়।
