সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর আগামী দিন যে খুব সুখের নয়, একথা বারবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে বায়ুদূষণ, জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত এই নীল গ্রহ। এর মধ্যেই আরেক সংকট ঘিরে বাড়ছে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ। যদি সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে অচিরেই বালির (Sand) অভাবে ভুগতে হবে সভ্যতাকে! রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত দপ্তর UNEP সম্প্রতি এভাবেই সতর্ক করেছে বিশ্বকে।
কেন বালি এত গুরুত্বপূর্ণ? আসলে বালিই পৃথিবীতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পদার্থ। সে গৃহনির্মাণ থেকে দেওয়াল, এমনকী কাচ প্রস্তুতি- সবক্ষেত্রেই বালি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ক্রমশ বাড়তে থাকা বালির ব্যবহার, নদীতল এবং সৈকত থেকে বালি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পরিবেশ সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রমশই বালির ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এভাবে চললে আগামী দিনে বালির অভাবে বড়সড় সমস্যায় পড়তে হবে মানব সভ্যতাকে।
[আরও পড়ুন: ইদের আবহে পতাকা খোলা নিয়ে উত্তপ্ত যোধপুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পাথর]
বড়সড় ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিবেশকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বালির। আর সেদিকে তাকিয়েই রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ। UNEP প্রকাশিত নয়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে গত সপ্তাহে। ২২ জন লেখক সেখানে লিখেছেন। যা থেকে জানা যাচ্ছে, বালি সংকট ক্রমশই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দীর্ঘত নদী মেকং নদীতট থেকে যেভাবে বালি চুরি হচ্ছে তার ফলে ইতিমধ্যেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ডুবে যাচ্ছে সংলগ্ন বদ্বীপ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় প্রচুর পরিমাণে বালি তুলে নেওয়ার ফলে নদীর স্রোতের অভিমুখ পালটে গিয়েছে! যার ফলে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ছে দ্বীপরাষ্ট্রের ভিতরদিকে, যা ডেকে আনছে কুমিরকে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের সংস্থা ‘ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ তথা নোয়া জানাচ্ছে, শিলার ক্ষয় থেকে বালির জন্ম হতে হতে হাজার হাজার, বলতে গেলে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে। ফলে এভাবে বালি চুরি হতে থাকলে নতুন বালি গঠিত হওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। আর তার ফলেই সৃষ্টি হবে বালির অভাবের। এখন থেকেই সতর্ক না হলে যার ফলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে সভ্যতাকে।