সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামুদ্রিক প্রাণীর বাজার নাকি বাদুড়? কোথা থেকে এক বছর আগে চিনের (China) ইউহানে প্রথম থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। কোন ব্যক্তি প্রথম মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাও কোনওদিন জানা যাবে না বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এসবের মধ্যে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন চিনের এক বিজ্ঞানী। এবার প্রকাশ্যে তিনি স্বীকার করলেন যে, ভাইরাস সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহের সময় তাঁর হাতে কামড়েছিল করোনা আক্রান্ত একটি বাদুড়। তাঁর এই স্বীকারোক্তিতে আরও একবার প্রকাশ পেল চিনের লুকোচুরি খেলা। আরও একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিন্দার মুখে জিনপিংয়ের দেশ।
২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে চিনে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। তাকে নোভেল করোনা ভাইরাস (Novel Corona virus)বলে চিহ্নিত করতে পারেননি কেউ। তবে বাদুড় থেকে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, এমন একটা অস্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়ায় বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা শুরু করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: করোনার টিকা নেওয়ার পরই বিকৃত হয়ে গেল ১৩ জনের মুখমণ্ডল, আতঙ্ক ইজরায়েলে]
ইউহানের এই বিজ্ঞানী ল্যাবরেটরি থেকে কিছুটা দূরে এক গুহায় গিয়েছিলেন বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করতে। সেখানেই নাকি একটি বাদুড় তাঁর হাতে কামড় বসায়। পরে জানা যায়, সেই বাদুড়ের শরীরে করোনা ভাইরাস ছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সেদিন তাঁর হাতে গ্লাভস থাকা সত্ত্বেও বাদুড়ের কামড়ে সূঁচ ফোটার মতো অনুভূতি হয়েছিল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সুরক্ষাবর্ম থাকলেও তা নামমাত্রই।
[আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজদের হামলা কাবুলে! সুপ্রিম কোর্টের দুই মহিলা বিচারপতিকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য]
করোনা ভাইরাসের বিপদ বুঝেও চিন সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু গোটা বিশ্বের কাছে নিজেদের দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি গোপন করেছে। এই অভিযোগ বরাবরই ছিল জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এমনকী যথাযথ তদন্তের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধিরা সেখানে যেতে চাইলেও বারবার বাধার মুখে পড়ে। শেষপর্যন্ত অবশ্য চলতি সপ্তাহে ইউহান গিয়ে পৌঁছেছে WHO’র তদন্তকারী দল।
ভাইরাসের উৎস সন্ধানে তাঁদের নানারকম পদ্ধতির মাঝেই প্রকাশ্যে এল বিজ্ঞানীকে বাদুড়ের কামড়ের খবর। এসব গোপনে রাখতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলকে চিন পরোক্ষে বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকে। তবে এই তথ্য সামনে আসায় আবারও মারণ ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা, তথ্য গোপনে বড়সড় ভূমিকা নেওয়ায় বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল চিনের।