shono
Advertisement

১০ কোটি বছর ধরে একইরকম ভাবে ফুটে রয়েছে! ফুলের জীবাশ্ম দেখে বিস্মিত গবেষকরা

সেই ডাইনসোরের যুগ থেকে আজও বদলায়নি এই ফুল।
Posted: 04:57 PM Feb 02, 2022Updated: 04:57 PM Feb 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবী কতটা বদলেছে গত ১০ কোটি বছরে? আধুনিক মানুষ এসেছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগে। সুতরাং বোঝাই যায়, অত প্রাচীন সময়ে কতটা আলাদা ছিল এই নীল গ্রহ। সেই সময় পৃথিবীর মালিকানা ছিল ডাইনোসরদের কাছে! আর তখনই ফুটত এই ফুল। এবার বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন সেই ফুলের এক জীবাশ্ম (Fossil)। আজও এই ফুলের দেখা মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa)। এই নয়া আবিষ্কারে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

‘নেচার প্ল্যান্টস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে এই আবিষ্কারের কথা। কিংডাও ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির এক গবেষক দল ও ব্রিটেনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য় গবেষকদের সঙ্গে মিলে এই ফসিল নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে কেপ টাউনে এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। সেই কেপ ফাইনবস ফ্লোরারই পূর্বসূরি আবদ্ধ হয়ে ছিল গাছের আঠার মধ্যে। আর ওই ভাবেই সংরক্ষিত অবস্থায় সে কাটিয়ে দিয়েছে ১০ কোটি বছর।

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর একমাস আগেই হবে বিশাল মিছিল, শঙ্খ-উলুধ্বনি দেবেন মা-বোনেরা: মমতা]

আজও এই ফুল ফোটে পৃথিবীর বুকে

স্বাভাবিক ভাবেই প্রায় অবিকৃত অবস্থায় থাকা ওই জীবাশ্মকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত গবেষকরা। এই ধরনের ফসিল সেই হারানো সময়কে বুঝতে দারুণ সাহায্য করে বলেই মত তাঁদের। মায়ানমারে সন্ধান মিলেছে ২১ টুকরো এই ধরনের অ্যাম্বার তথা তৈলস্ফটিকের। দেখা গিয়েছে, সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই প্রায় অবিকৃত হয়ে রয়েছে এই উদ্ভিদটি।

প্রসঙ্গত, অ্যাম্বার তথা তৈলস্ফটিকের পেটের মধ্যে এই ধরনের জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া নতুন কিছু নয়। সাধারণ রজনের এই ঘনীভূত আকারকে অনেক সময়ই রত্ন তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। মাইকেল ক্রিকটনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘জুরাসিক পার্কে’ ডাইনোদের আধুনিক পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পিছনে এমনই এক তৈলস্ফটিকের বিরাট অবদান ছিল। সেটা নিছকই গল্পকথা হলেও গবেষকদের কাছে এই স্ফটিকের গুরুত্ব অপরিসীম।

[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement