সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভরা বর্ষার উত্তরে অলআউট খেলছে সূর্য। চড়ছে পারদ। ব্যাহত জনজীবন। বিপর্যস্ত ছাত্রছাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলের মাঠে গাছের নিচে চলছে ক্লাস। এমন কাণ্ড ঘটেছে কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের কাটামারি হাইস্কুলের।
কোনও ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড়শো তো কোনটায় দু’শো আর পাখা মাত্র একটি কি দুটি। তাই কারও গায়েই যে হাওয়া লাগে না। আবার নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে স্কুল শেষে ক্লাসে ঢুকে কেউ কেউ পাখা নষ্ট করে দেয়। তার ফলে তীব্র গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছে বহু পড়ুয়া। কার্যত বাধ্য হয়ে তাই ক্লাসরুমের বদলে মাঠে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষিকা জয়শ্রী রায় জানান, “ঘরে বসে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না। গরমে যাচ্ছেতাই পরিস্থিতি। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলের মাঠে ক্লাস নিচ্ছি। একটু অন্যরকম পরিবেশ। ভালই লাগছে।”
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফের নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া, চলন্ত গাড়িতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ভিডিও করল অভিযুক্তরা]
গরমে ক্লাসে বসে পড়াশোনা করতে কষ্ট হয় ছাত্রছাত্রীদের। গাছের তলা অনেক বেশি আরামদায়ক। তাই পাখার অভাবে কষ্টের পরিবর্তে গাছের তলায় ক্লাস করতেই চায় পড়ুয়ারাও। প্রচণ্ড গরমে সন্তানদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন অভিভাবকরা। তাই তাঁরাও স্কুলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কোচবিহারের মতোই অবস্থা জলপাইগুড়িরও। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সকালে চালু করার আবেদন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর ও জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের। সকালে স্কুল চালুর দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠিও পাঠিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ (Shankar Ghosh)। অপেক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের। আর অনুমোদন মিললেই সকালেই হবে স্কুল। এদিকে, হাসপাতালগুলিতেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। একে তো করোনার দাপট এখনও যায়নি তার উপর গরমে অসুস্থতার সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। আর পাঁচজনের মতো পরিবহণ কর্মীরাও গরমে নাজেহাল। এনবিএসটিসি’র কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের বন্দোবস্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: