সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ দিনের মধ্যে তিন বন্দি আত্মঘাতী দিল্লির মান্ডোলির জেলে। দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারে আত্মহত্যা রুখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, ডিরেক্টর জেনারেল (জেল) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব, প্রশাসককে একাধিক প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission)।
বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন জেলবন্দিদের আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপারিশে বলা হয়, বন্দিরা যাতে বিছানার চাদর, কম্বল ব্যবহার করে আত্মঘাতী না হতে পারে, তার জন্য নিয়মিত এগুলির হিসাব রাখতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ‘সেনা অভ্যুত্থান’, পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ওয়াগনার বাহিনীর]
মানবাধিকার কমিশনের তরফে বিচারপতি অরুণ মিশ্র (Arun Mishra) জানান, বন্দিদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বন্দি আত্মঘাতী হয়েছে। তাই আত্মহত্যা রুখতে সেনা বারাক ও শৌচালয়গুলিতে এমন কোনও বস্তু রাখা যাবে না, যেখান দিয়ে কেউ ঝুলে পড়তে পারে। লোহার রড, গ্রিল, পাখা, হুকের মতো কিছু রাখা যাবে না। পাশাপাশি বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করানো ও ফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। এই পরামর্শ বা নির্দেশ সংশোধনাগারগুলি কতটা মানল তা জানতে তিন মাসের মধ্যে একটি রিপোর্টও তলব করেছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: বিয়ে করছেন রশ্মিকা-বিজয়! রেস্তরাঁয় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পাকা কথা সারলেন জুটি?]
সুপারিশে বলা হয়েছে, জেলে কর্মীদের ফাঁকা পদ দ্রুত পূরণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তিকে জেলে বন্দি করা হবে তখন তার মানসিক স্বাস্থ্য চেক করতে হবে। যাদের মানসিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ তাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। ফিনাইল, অ্যাসিড জাতীয় দ্রব্য যেগুলি দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করা হয় সেগুলি ও টুল, দড়ি, মই, কাচ, পাইপ বন্দিদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। এনজিও-র সাহায্য নিয়ে বন্দিদের যোগ, খেলাধুলা, হাতের কাজ, নাটক, গান, নাচ ও আধ্যাত্মিক কর্মসূচি করাতে হবে।