স্টাফ রিপোর্টার: শিয়ালদহে (Sealdah) পাশাপাশি লাইনে চলা দু’টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লেগেছিল ন’দিন আগে। ঘটনার পরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল রেল। দুর্ঘটনার দিনই কারশেডগামী ট্রেনের চালককে সাসপেন্ড করেছিল রেল। এবার পুরোপুরি বরখাস্ত করা হল তাঁকে।
দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে রেল (Indian Railways)। তদন্তে দুর্ঘটনার জন্য চালকের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তারপরই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল অভিযুক্ত শান্টারকে। নাম অভিজিৎ কুমার প্রভাকর। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায় পেনশন-সহ অন্যান্য অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধাও তিনি পাবেন না, শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে ওই চালক চাকরি করছিলেন। কুড়ি বছর চাকরির মেয়াদ না হওয়ায় এই সব সুবিধা পাবেন না। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে লোকাল ট্রেনের মোটরম্যান এবং সহকারী মোটরম্যানদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: এবার ইডির নজরে মানিক ভট্টাচার্যের দু’টি আমবাগান, তালিকায় ফ্ল্যাট-জমিও]
গত ৩০ নভেম্বর শিয়ালদহ স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি লাইনে থাকা দু’টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগে। এর মধ্যে একটি ট্রেন ছিল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে যাওয়া আপ রানাঘাট লোকাল। অন্যদিকে দ্বিতীয় ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে কারশেডের দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তেই কারশেড গামী ট্রেনের চালক অভিজিৎ কুমার প্রভাকরের গাফিলতির প্রমাণ পায় রেল।
এই দুর্ঘটনার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, কারশেডগামী ট্রেনের চালক সিগন্যাল না মানার কারণেই দু’টি ট্রেনের পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়েছিল। বাড়ি যাওয়ার তাড়া থেকেই এই ভুল করে বসেছিলেন তিনি। কারণ, ওই ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে তাঁর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল। সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় স্বাভাবিকভাবেই।