অর্ণব দাস, বারাকপুর: শিয়ালদহ মেন শাখায় বিপত্তি। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি অন্যান্য যাত্রীদের। শুক্রবার সকাল থেকে ভিড়ে ঠাসা শিয়ালদহ মেন শাখার প্রতিটি লোকাল ট্রেন। তাতে ধাক্কাধাক্কি করে ওই যুবক উঠতে যান বলেই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
মৃত মহম্মদ আলি হাসান আনসারি, উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের বাসিন্দা। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে কাজ করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, "টিটাগড় থেকে ট্রেনে ওঠেন তিনি। বেশ ধাক্কাধাক্কি করেই ওঠেন। টিটাগড় ও খড়দহ স্টেশনের মাঝে ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে যান।" জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলেই জানান। এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখা মৃতের পরিবার-প্রতিবেশীরা। যদিও হাসপাতালের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই যুবককে হাসপাতালে আনামাত্রই চিকিৎসা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: বসিরহাটে বিজেপির রেখার হার নিয়ে মুখ খুললেন শাহজাহান, কী বললেন?]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত বারোটা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে ওভারহেডের তার টানা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে নন ইন্টরলকিংয়ের কাজ চলবে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে। এর পর ইন্টারলকিংয়ের কাজ। বাতিল একের পর এক লোকাল ট্রেন। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। তবে ভোগান্তির জন্য রেলকেই দায়ী করেছেন যাত্রীরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, প্ল্যাটফর্ম সংস্কারের জন্য ঠিক কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আর কোন ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষের তরফে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। সে কারণেই বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যদিও রেলের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রেলের দাবি, “পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সব ঠিকঠাকই রয়েছে।”