সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর সমালোচক এবং রাশিয়ার বিরোধী দলনেতা আলেক্সেই নাভালনিকে (Alexei Navalny) হত্যা করতে দ্বিতীয় বার চেষ্টা চালিয়েছেন পুতিনের অনুগত রুশ গুপ্তচররা। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে দ্য টাইমস-এ।
[আরও পড়ুন: ট্রাম্পের চেষ্টায় জল ঢেলে বিডেনের জয়ে সিলমোহর ইলেক্টোরাল কলেজের]
জার্মান গুপ্তচরদের গোপন রিপোর্ট তাদের হাতে এসেছে, এই দাবি করে ব্রিটিশ সংবাদপত্রটি খবর প্রকাশ করেছে, নাভালনি প্রথমবার বিষ প্রয়োগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবন সংকট দেখা দিলেও তিনি বেঁচে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে সাইবেরিয়ার ওমস্ক শহর থেকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে আসা হয় বিশেষ বিমানে। বিমানে পুতিনের গুপ্তচররা তাঁকে বিষের দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ফের মারার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা ইঞ্জেকশন বা স্যালাইনের সঙ্গে তারা দিতে পারেনি। দ্বিতীয় চেষ্টা সফল হলে নাভালনিকে বাঁচানো মুশকিল হত। কিন্তু দ্বিতীয় চেষ্টার প্রমাণ পেয়েছে জার্মান ফরেনসিক টিম। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রাসায়নিক যুদ্ধ ও জৈব যুদ্ধ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিমানে নার্সরা অসুস্থ নাভালনিকে অ্যাট্রোপিন নামের একটি বিষ প্রতিরোধী ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তিনি বেঁচে যান। কাজ করেনি শক্তিশালী নার্ভ এজেন্ট। কিন্তু তাঁকে মারার দ্বিতীয় চেষ্টা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগস্টের ২০ তারিখ সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে বিমানে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি ( Alexei Navalny)। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। নাভালনি ঘনিষ্ঠদের প্রাথমিক ধারণা, টমস্ক বিমানবন্দরে তাঁর চায়ে বিষ মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। কোমায় আচ্ছন্ন হন তিনি। সেটা বিষের প্রভাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। এরপর নাভালনির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকায় জার্মানির বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তারপর সুইডেন ও ফ্রান্সের গবেষণাগারও সাফ জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর বিরোধী নাভালনির উপর সোভিয়েত জমানার ভয়াবহ নার্ভ এজেন্ট নভিচক প্রয়োগ করা হয়েছিল।