সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিদ্রোহে’র জের। ভেঙে খানখান মারাঠা স্ট্রংম্যানের পওয়ার শিবির। এই পরিপ্রেক্ষিতে পিছিয়ে গেল বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠক (Opposition Meeting)। আগামী ১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলির দ্বিতীয় বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং শরদ পওয়ার (Sharad Pawar)। কিন্তু রবিবার তাঁর শিবিরই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। ৮ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন। আর তাতে বিরোধী সমীকরণ এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। যদিও বিরোধী শিবিরের তরফে জানা গিয়েছে, সংসদের বাদল অধিবেশন এবং তার পরপর বিহার, কর্ণাটকের বিধানসভা অধিবেশনের কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session of Parliament)পর দিনক্ষণ স্থির হবে।
আগামী ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ১১ আগস্ট শেষ হবে। শোনা যাচ্ছে, তারপরই বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হবে। সংসদের অধিবেশনে আমলাদের নিয়োগ ও বদলি নিয়ে দিল্লি সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স (Ordinance) পেশ হওয়ার সম্ভাবনা। আর তাতে আপ (AAP) নেতৃত্ব অর্থাৎ কেজরিওয়ালের দলের পাশে কোন কোন বিরোধী দল দাঁড়ায়, তা দেখে বিরোধী ঐক্যের একটা প্রাথমিক পরীক্ষা হয়ে যাবে। পাটনার বিরোধী বৈঠকে এ নিয়েই কার্যত কংগ্রেসের সঙ্গে আপের বাকযুদ্ধ বেঁধেছিল। এদিকে, পওয়ার শিবির ভাঙার পর বিরোধীদের সমীকরণে বদল আসবে। তাও ভালভাবে বুঝে নিতে চান প্রত্যেকেই।
[আরও পড়ুন: মোদির নিরাপত্তায় গলদ! প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপর চক্কর কাটল ড্রোন]
বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ফলপ্রকাশ হবে ১১ জুলাই। এরপর অন্যান্য রাজ্যেও নানা স্তরের নির্বাচন রয়েছে। তার উপর বাদল অধিবেশন শেষের পর বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশনও রয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী কিছুটা সময় নানা কাজে ব্যস্ত থাকবে বিরোধী দলগুলি। তাই বিরোধী বৈঠক আগস্টের শেষভাগে হতে পারে। সেই বৈঠকে কারা উপস্থিত হবেন, সেদিকেও নজর থাকবে। সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানার কেসিআরের দলের উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নাকি জানিয়েছেন, কেসিআর বিরোধী জোটে থাকলে কংগ্রেস গরহাজির থাকবে।