সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীটা ছোট হতে হতে সত্যিই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। স্মার্টফোনের কল্যাণেই সেলফির (Selfie) আমদানি। রণে-বনে-জঙ্গলে, মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন সেলফি তোলা যেন মাস্ট! এই সেলফির জন্যই বাড়ছে উকুনের সমস্যা, দাবি আইরিশ ফার্মেসি ইউনিয়ন এগজিকিউটিভ কেইট্রিওনা ও’ রিওরডানের (Caitriona O’Riordan)।
আইরিশ গবেষকেরা জানান, সাধারণত উকুনের সমস্যা ছোটদেরই বেশি হয়। কিন্তু এখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও এই সমস্যা প্রচণ্ড পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ স্মার্টফোনের বাড়বাড়ন্ত ও সেলফি তোলার প্রবণতা। এর কারণ হিসেবে কেইট্রিওনা জানাচ্ছেন, সেলফি তোলার জন্য দু’জন মানুষকে ছোট্ট স্মার্টফোনের ক্যামেরার ফ্রেমের মধ্যে আসতে হয়। ফলে একজনের মাথা থেকে সহজেই উকুন অন্যের মাথায় চলে যায়।
[আরও পড়ুন: স্বামীকে হাতের মুঠোয় রাখতে তুকতাক, খাবারে ঋতুস্রাবের রক্ত মেশাতেন স্ত্রী ]
খুব তাড়াতাড়ি বংশ বিস্তার করতে পারে উকুন। তাতেই সমস্যা বাড়ে। কেইট্রিওনার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন আইরিশ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগে প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের উকুনের সমস্যা বেশি হত। এখন সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই সমস্যায় ভুগছেন। এর অন্যতম কারণ স্মার্টফোন ও সেলফি। মাথার চুলের মাধ্যমে ‘চালান’ হয়ে সহপাঠীদের মাথায় খুব সহজেই চলে যায় উকুন। পরে পাকা আস্তানা গড়ে তোলে। বাবা-মা বা বাড়ির অন্যদের মাথাতেও চলে যেতে পারে চলমান এই আতঙ্ক।
আদতে উকুন তেমন ক্ষতিকারক না হলেও নিয়মিত মাথা চুলকুনি বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এর থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া সহজ নয়। বাজারচলতি শ্যাম্পুতে ব্যবহৃত রাসায়নিকে মাথার চুলের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিশেষ চিরুণি ব্যবহার করা প্রবল অস্বস্তির। তাই সেলফি তোলার আগে সাবধান হোন।