সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোয় কি টানা কর্মবিরতি করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ চান, প্রতিবাদ-আন্দোলন হোক। পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন জুনিয়ররা। যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অডিটোরিয়াম জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠকে বসেন। চিকিৎসক মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সবাই চাইছি আন্দোলন চলুক। কিন্তু অন্তত আংশিক হলেও কাজে ফিরুক। বৈঠক চলছে।" চিকিৎসক তাপস প্রামাণিকও সহমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা চাইছি কর্মবিরতি তুলে নিক। ইমার্জেন্সি মেডিসিনের অধ্যাপকরা প্রস্তাব দিয়েছি।"
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিনই আর জি করের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল তাঁরা। প্রথম দফায় মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে দুদফায় বৈঠকের পর ৪১ দিনের মাথায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জরুরি বিভাগে কাজ শুরু করেন তাঁরা। তবে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পর থেকে ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর দীর্ঘ জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।