সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি (NDTV) ছাড়লেন ব়্যামন ম্যাগসাইসাই (Ramon Magasaysay) পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক রবীশ কুমার। চ্যানেলের রাশ আদানির সংস্থার হাতে যাচ্ছে, এটা নিশ্চিত হতেই বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ এডিটরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
রবীশ কুমার গত কয়েক দশক ধরে এনডিটিভির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীশ কি রিপোর্ট, প্রাইম টাইম, হাম লোগ, দেশ কি বাতের মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি। এনডিটিভি সূত্রের খবর, সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই কর্মীদের রবীশের (Ravish Kumar) ইস্তফার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, খুব কম সাংবাদিকই রবীশের মতো জনমানসে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর মতো মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতাও খুব কম সাংবাদিকেরই রয়েছে। সংস্থা নিশ্চিত যে আগামী দিনে তিনি যে কাজই করুন, তাতে সফল হবেন।
[আরও পড়ুন: ২০ হাজারের বেশি অনুদানে বিরোধীদের টেক্কা বিজেপির, ধারেকাছে নেই কংগ্রেস-তৃণমূল]
রবীশের ইস্তফার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল শুরু হয়েছে। বলাবলি হচ্ছে, দেশের নিরপেক্ষ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের শেষ স্তম্ভেরও পতন ঘটল। বস্তুত, রবীশের ইস্তফার পর এনডিটিভির খবর দেখানোর ধরন অনেক বদলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বোর্ড থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রণয় রায় (Pronoy Roy) ও রাধিকা রায় (Radhika Roy)। তাদের বদলে আদানিদের প্রতিনিধিরা ঢুকে পড়েছেন বোর্ডে। সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় পুগলিয়া এবং সন্থিল সিন্নাইয়া চেঙ্গালভারায়ণকে আরআরপিআই হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড তথা পর্ষদের পরিচালন বোর্ডে ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন ম্যানেজমেন্টের অধীনে এনডিটিভি নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও শূর্পনখা বলেছিল মোদি’, ‘রাবণ’ বিতর্কের মাঝে পালটা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী]
উল্লেখ্য, গত আগস্টেই জানা গিয়েছিল, এনডিটিভি গোষ্ঠীর ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার আদানিদের (Gautam Adani) হাতে চলে গিয়েছে। এরই পাশাপাশি আরও ২৬ শতাংশ শেয়ার নিজেদের হাতে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আদানিদের তরফে। ওই প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। ওই শেয়ার কিনতে শেয়ার পিছু ২৯৪ টাকা দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। সব মিলিয়ে ১.৬ কোটি শেয়ার কিনবে তারা। আর তাহলেই এনডিটিভি গোষ্ঠীর সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণই চলে যাবে গৌতম আদানির হাতে। সেটা আন্দাজ করেই এনডিটিভি ছাড়ছেন সংস্থার পুরনো ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা।