সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যা আশঙ্কা করা হয়েছিল পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আইএমএফ (IMF)। তাঁদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভারতের জিডিপি বা আর্থিক বৃদ্ধির বিরাট সংকোচনের আশঙ্কা করা হয়েছে। তাতে ভারতীয় মাথাপিছু জাতীয় আয় বাংলাদেশের চেয়েও কম যেতে পারে।
আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরে (২০২০)-এ ভারতের জিডিপি-র হার সংকুচিত হতে পারে ১০.৩ শতাংশ। যদিও জুনে ৪.৫ শতাংশ সংকোচনের নিদান দিয়েছিল আইএমএফ। তাহলে জিডিপি সংকোচনের পূর্বাভাস একধাক্কায় এতটা বেড়ে গেল কীভাবে?
[আরও পড়ুন : সামান্য বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, মৃতের সংখ্যা পেরল ১ লক্ষ ১০ হাজার]
জবাবে আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি-র ২৩.৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। তা দেখেই এই সার্বিক হার এতটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। তাঁদের কথায়, আশঙ্কার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের গত ত্রৈমাসিক আর্থিক বৃদ্ধি। এর জন্য কার্যত লকডাউনকেই দায়ী করেছে আইএমএফ। আর্থিক বৃদ্ধির হার সংকুচিত হলে ভারতে মাথা পিছু জিডিপি দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাথা পিছু জিডিপি চার শতাংশ বেড়ে হবে ১৮৮৮ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার কিছু বেশি।
তবে শুধুমাত্র ভারত নয়। করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাকে নিয়ে জীবন কাটানোর মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এর আগে কেউ পড়েনি। এই সংকট বিদায় নিতে এখনও অনেক দেরি। ফলে চরম বঞ্চনার শিকার হবেন বিশ্বের ৯ কোটি মানুষ।
[আরও পড়ুন : ‘কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর লড়াই চলবে’, মুক্তি পেয়েই হুঙ্কার মেহেবুবা মুফতির]
তবে এত মন্দার মধ্যেও আর্থিক বৃদ্ধি দেখবে শুধুমাত্র চিন। তবে ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্বের অর্থনীতি। ওই বছর সব ঠিক থাকলে ভারতেরও ৮.৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে। এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির মন্দায় তলিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের বার্তা, সংকট কাটতে এখনও অনেক সময় লাগবে। বিপদ কাটাতে আর্থিক ও ঋণনীতির মাধ্যমে সাহায্য তড়িঘড়ি না-ফেরানোই ভাল।