সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ইরাকের মার্কিন ফৌজের ঘাঁটিতে রকেট হামলা।অভিযোগের তির ইরানের দিকে। রবিবার বাগদাদে মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ল বেশ কয়েকটি রকেট। ঘটনায় জখম চার ইরাকি সেনা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বাগদাদের ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আল বালাদ সেনাঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে কমপক্ষে ছ’টি রকেট। ওই ঘাঁটিতে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাশাপাশি বিমানগুলির দেখভালের জন্য রয়েছেন মার্কিন বায়ুসেনার বেশ কয়েকজন কর্মী। ইরাকের এক পুলিশকর্তা মহম্মদ খলিল জানিয়েছেন, রানওয়ে ও বায়ুসেনার ঘাঁটির মূল ভবন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এর ফলে মার্কিন যুদ্ধ বিমানের কার্যকলাপে প্রভাব পড়তে পারে। এই হামলার নেপথ্যে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: সোলেমানির শেষকৃত্যে কেঁদে ফেললেন ইরানের শীর্ষ নেতা খামেনেই, দেখুন ভিডিও]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইরাকের আইন আল-আসাদ এবং ইরবিল সেনাঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ওই দুই ঘাঁটিতে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বাহিনীও। হামলার দায় স্বীকার করে ইরানের সেনাবাহিনী। কমান্ডার কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা বলে সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানায় ইরানি ফৌজ। তার আরও দাবি করে যে আমেরিকা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে।
এহেন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের ৮ তারিখ ভুল করে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ধংস করে ফেলে ইরানের সেনা। গত শনিবার এক বিবৃতিতে তেহরান জানায়, ভুলবশত তাঁদের সেনাবাহিনী বিমানটিকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল। তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেক উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। সেটি ছিল ‘ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’-এর। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর।
উল্লেখ্য, মার্কিন হানায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য। দ্রুত ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের মেঘ।এহেন পরিস্থিতিতে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা মানবে না। ইরানের এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব। ২০১৫ সালে আমেরিকার চপেই পরমাণু চুক্তিতে সায় দিয়েছিল ইরান। তবে সোলেমানির মৃত্যুর পর পালটে গিয়েছে পরিস্থিতি।
The post ফের ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে ঘনাল যুদ্ধের মেঘ appeared first on Sangbad Pratidin.