সুব্রত বিশ্বাস: সপ্তাহের প্রথম দিন মানুষজন কাজে বেরিয়েও সময় মতো পৌঁছে পারলেন না কর্মস্থলে। কারণ, প্রবল বর্ষণে লাইন ডুবে অনিয়মিত ট্রেন চলাচল। এমনিতেই হাতে গোনা ট্রেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে বাদে ট্রেন, তাও সোমবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল বৃষ্টির দাপটে।
এদিন হাওড়া কারসেড, কলকাতা টার্মিনাল ও চক্ররেলের মল্লিকঘাট এলাকার লাইন তলিয়ে যায় জমা জলে। পূর্ব রেলের (Eastern Railway) পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইনের উপর ১৪ ইঞ্চি জল জলে থাকায় কলকাতা থেকে এদিন দুপুরের পর কোনও ট্রেন বের হতে পারেনি। ট্রেন ঢুকতেও পারেনি। পৌনে বারোটার জম্মু তাওয়াই কলকাতা থেকে প্রথম বাতিল হয়। তারপর একে একে বাতিল হয় রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস, আজমগঢ় এক্সপ্রেস। যুগবাণী এক্সপ্রেস এদিন রাতে কলকাতার পরিবর্তে শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে। মঙ্গলবারও বাতিল থাকবে লালগোলা এক্সপ্রেস। চক্ররেলের লাইন ডুবে যাওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় ওই রেল।
[আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে দুর্যোগ, নৌকায় ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত বাঁকুড়ার যুবক, বাগুইআটিতে ভাঙল বাড়ি]
হাওড়া কারসেডে জমা জলের সমস্যা বহু দিনের। এদিনও সেই কারণে ট্রেন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। লিলুয়া থেকে হাওড়া পৌঁছতে ট্রেনগুলি এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় নেয় । ফলে সাধারণ মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে কাজে বেরিয়েও এদিন সময় মতো পৌঁছতে পারেননি কর্মস্থলে।
অপারেশন বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, হাওড়া কর্পোরেশন এলাকার জল কারসেডে ঢুকছে, ফলে লাইনের উপর জল এতটাই জমে যায় যে সতর্কতা দিয়ে ট্রেন চলানো হচ্ছে। ফলে বিলম্ব হচ্ছে অস্বাভাবিক রকমের। এদিন লোকাল ট্রেনের গার্ড ও চালকরাই সময় মতো না আসতে পারায় কর্মী সংকট দেখা দেয়। সেটাও বিলম্বের একটা কারণ বলে ওই বিভাগ জানিয়েছে। দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন এদিন বিলম্বে ছাড়লেও কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়নি বলে ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।