সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জনের বন্ধুত্ব অনেকদিনের। দুঃসময়ে একে অন্যের পাশে থেকেছেন। একে অন্যকে সবসময় সাহায্য করেছেন। তা সে ব্যক্তিগত জীবনই হোক বা পেশাগত। আর সেই কারণেই কাজলকে তাঁর অভিনয় আরও ক্ষুরধার করতে বলেছিলেন শাহরুখ। স্বয়ং অভিনেত্রী এই কথা স্বীকার করেছেন।
অভিনয়ের জগতে পোড়খাওয়া অভিনেতা শাহরুখ। শূন্য থেকে শুরু করে আজ তিনি বলিউডের বাদশা। অনেক ওঠানামা আছে তাঁর জীবনে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছেন শাহরুখ। বন্ধু হিসেবে তাই নিজের অভিজ্ঞতার কথা কাজলকে বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, অভিনয় করতে গেলে দরকার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ার জীবনে এটাই মাথায় রেখে চলেছেন কাজল। তারই ফলে এখন তাঁর অভিনয় প্রতিভা প্রশংসিত হয় সর্বত্র। একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন অভিনেত্রী।
[ বর্ণবৈষম্যের শিকার শিল্পা, সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ অভিনেত্রীর ]
কাজল বলেছেন, তিনি যে ছবিগুলো করেছেন, তার মধ্যে তাঁর প্রিয় তিনটি ছবি। ‘বেখুদি’ (১৯৯২), ‘উধার কি জিন্দেগি’ (১৯৯৪) ও ‘দুশমন’ (১৯৯৮)। প্রথম ছবিটি হিট করেনি। কিন্তু শাহরুখের টিপস তাঁর কাজে লাগে পরবর্তী ছবিগুলোর ক্ষেত্রে। বন্ধুর কথা মেনে আখেরে লাভই হয়। কাজল বলেছেন, ‘বেখুদি’, ‘উধার কি জিন্দেগি’, ‘দুশমন’ বা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ একটি অন্যটির থেকে আলাদা। কিন্তু প্রতিটি ছবির সময় কিছু না কিছু শিখেছেন অভিনেত্রী।
‘বেখুদি’ পরিচালনা করেছিলেন রাহুল রাওয়াল। কাজল জানিয়েছেন, তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছিলেন তিনি। কাজলের জীবনে তিনি অন্যতম সেরা শিক্ষক। ফটোগ্রাফার থেকে মেক-আপ, সব বিষয়েই তিনি শিখেছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন ‘বাজিগর’-এর সময়। তখন শাহরুখ বলেছিলেন, কীভাবে অভিনয় করতে হয়, কাজলের শেখা উচিত। কিন্তু কাজলের মনে হয়েছিল, তিনি অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু যখন ‘উধার কি জিন্দেগি’-তে তিনি অভিনয় করছিলেন, তখন বুঝেছিলেন, অভিনয়টা সত্যিই তাঁর খুব ভাল হচ্ছে না। এরপরই মা তনুজার থেকে টিপস নেন তিনি।
এরপর ‘দুশমন’ ছবিটি তাঁকে অনেক পরিণত করে। এরপর আসে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। আর তখনই কাজল বোঝেন, অফস্ক্রিন সম্পর্ক ভাল থাকলে তার প্রভাব পড়ে অনস্ক্রিনেও। আর একথা তাঁকে শিখিয়েছিলেন সেই ছবিরই হিরো শাহরুখ।
[ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরশাদ, আসছেন ওয়েব সিরিজ নিয়ে ]
The post শাহরুখ আমায় অভিনয় শিখতে বলেছিল: কাজল appeared first on Sangbad Pratidin.