অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: আরও বিপাকে শেখ শাহজাহান। নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন ইডির। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেল চারটের মধ্যে শাহজাহানকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ বিচারকের।
গত ৩০ মার্চ, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এবার তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার সকালে আইনজীবী আদালতে জানান, "গত ৩০ মার্চ শাহজাহানকে শোন অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। সেখানে আমরা ধৃতকে জেরা করি। সেদিন তাঁকে সমস্ত নথিপত্র দেখিয়ে জেরা করা হয়। কিন্ত প্রতি ক্ষেত্রে উনি নথিপত্রকে অস্বীকার করেন। বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। যত সময় যাবে সন্দেহভাজনরা নাগালের বাইরে চলে যাবে। পালিয়ে যেতে পারে।" সে কারণে সোমবারই তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশের আর্জি জানায় ইডি। কিন্তু কীভাবে বসিরহাট জেলে বন্দি এত তাড়াতাড়ি শাহজাহানকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা সম্ভব, পালটা প্রশ্ন করেন বিচারক। ইডির তরফে জানানো হয়, মাত্র ২ ঘণ্টার রাস্তা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সওয়াল জবাব শোনার পর তাঁকে আজ বিকেল চারটের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে কেজরি, এবার ইডি হেফাজত থেকে বেরিয়ে জেলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজ পাননি। পরিবর্তে জখম হন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে ঝরে রক্তও। এই ঘটনার ৫৫ দিন পর রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। এর পর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বর্তমানে বসিরহাট জেলই ঠিকানা শাহজাহানের। এই মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ইডিও। আদালতের অনুমতিতে গত শনিবার দুপুরে জেলেই শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ইডি আধিকারিকরা। ওইদিন বিকেলে জানা যায় জেলের ভিতরেই শাহজাহানকে খাতায় কলমে গ্রেপ্তার করে ইডি। যদিও সেই সময় শাহজাহানকে হেফাজতে নেয়নি ইডি। এবার শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে আদালতের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।