সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহানই। তাঁর নির্দেশেই ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হয়েছে। মারধর করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ভাঙচুর করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও। হয়েছে লুটপাট। পুলিশের দাবি, রাতভর জেরায় সেকথা নিজেই স্বীকার করেছেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’।
বসিরহাট মহকুমা আদালতে পুলিশের জমা দেওয়া নথিতে স্পষ্ট শেখ শাহজাহানের স্বীকারোক্তি। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চলার মূলচক্রী শেখ শাহজাহান। তিনি নিজে জানিয়েছেন, তাঁর নির্দেশেই অনুগামীরা জড়ো হয়ে যায়। মারধর করা হয় ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। লুটপাটও করা হয়। গ্রেপ্তারি এড়াতেই হামলা বলেও জানায় শাহজাহান। সন্দেশখালির ‘বাঘ’ তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মারধরে কারা যুক্ত ছিল, তা জানাবে শাহজাহান। এছাড়া কোথায় লুট হওয়া জিনিসপত্র রয়েছে, তাও জানাবে তৃণমূল নেতা। সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজেই তাঁকে ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ১৪]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে শেখ শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর খোঁজে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। দুটি মোবাইল নম্বরে বার বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটি নম্বর দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত ছিল। তবে আরেকটি নম্বরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ইডির কথা শুনেই ফোন কেটে দেন শেখ শাহজাহান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকশো লোক জমা হয়ে যায়। মারধর করা হয় ইডি আধিকারিকদের। ঝরে রক্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। প্রথম থেকেই ইডি দাবি করে, শাহজাহানের নির্দেশেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। যদিও বার বার সেই দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। উলটে শাসক শিবিরের নেতানেত্রীরা দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত। যদিও গ্রেপ্তারির পর আদালতে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্য কথাই জানিয়েছে পুলিশ।