সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির উপরে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান, তা জানা গিয়েছিল আগেই। তবে শাহজাহান সেই সময় ঠিক কোথায় ছিলেন, সে সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি এতদিন। বৃহস্পতিবার সিবিআই বসিরহাট মহকুমা আদালতে জানাল, বাড়ির কাছ থেকে ইডির উপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দেশখালির 'ত্রাস'। এমন তথ্য উঠে এসেছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এদিকে, এদিন শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ করে আদালত। তাঁকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজ পাননি। পরিবর্তে জখম হন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে ঝরে রক্তও। এই ঘটনার ৫৫ দিন পর গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সিবিআই আদালতে দাবি করে, সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ইডির উপর হামলার সময় বাড়ির কাছেই ছিলেন। তিনি সেখান থেকেই ফোন করে অনুগামীদের ইডির উপর হামলার নির্দেশ দেন। সুতরাং ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানই যে মূলচক্রী, তা এদিন আরও একবার আদালতে স্পষ্ট করে সিবিআই। সওয়াল জবাবের পর শাহজাহানকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আরও একটি মামলায় ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরের বউ হলে ধোলাই দিত’, দিলীপের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘বেলাগাম’ তৃণমূল বিধায়ক]
এদিকে, এদিন সুকমল সর্দার, মেহেবুর মোল্লা এবং অজিত মাইতিকেও বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সুকমল এবং মেহেবুরকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শাহজাহান 'ঘনিষ্ঠ' অজিত মাইতির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জমি দখলের অভিযোগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মহিলারা। প্রায় ঘণ্টাছয়েক পর অজিতকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার অজিতকে পাঁচদিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।