নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: সব কুল হারালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা বেগম (Shamima Begum)। তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে ২০১৫ সালে দুই বান্ধবী-সহ ব্রিটেন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। সেখানে গিয়ে শামিমা এক আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁর চার সন্তানই মারা যায়। তাঁদের ইসলামি স্টেটের স্বপ্ন অধরা থেকে যায় এবং যুদ্ধে তাঁর স্বামীও মারা যায়। বন্দি হন শামিমা। ঠাঁই হয় শরণার্থী শিবিরে।
শামিমা নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়া ও দেশে ফিরতে চেয়ে ব্রিটেনের (UK) আদালতে মামলা করেন। কিন্তু সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এর অর্থ, তিনি আর ব্রিটেনের নাগরিক নন। শামিমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রিটেনেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শামিমাকে সিরিয়া থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, শামিমা ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। তাই তাঁর নাগরিকত্ব বাতিলে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তাঁকে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না।
[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]
এদিকে শামিমাকে বাংলাদেশে আনতে আবেদন করার কোনও সুযোগ নেই বলে মনে করেন তাঁর বাবা আহমেদ আলি। কারণ শামিমা বাংলাদেশের নাগরিক নন। তবে তাঁকে ব্রিটেনে ফেরার অনুমতি দিয়ে ‘ভুল’ সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। ‘আইএস বধূ’ হিসাবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিত শামিমার বয়স ২৪ বছর এবং তিনি সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আল-রোজ নামক এক বন্দি শিবিরে বসবাস করছেন।