জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রবিবার পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। সোমবার দুপুরে চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন তিনি। চিঠিটি দেগঙ্গা (Deganga) থেকে পাঠানো হয় তাঁকে এমনই দাবি শান্তনুর। এবার ওই হুমকি চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন তিনি।
শান্তনুবাবুর দাবি, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে সিএএ-এনআরসি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মতুয়া ঠাকুর বাড়ির মন্দির উড়িয়ে দেওয়া হবে। তাঁর পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এই হুমকির চিঠি পাওয়ার পর সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) জানিয়েছেন শান্তনু। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) নজরেও আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে শান্তনু বলেন, "আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। কারণ এটা আমাদের সকলেরই জানা উচিত পশ্চিমবঙ্গের মতোন গণতান্ত্রিক রাজ্যে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী কীভাবে কার্যকলাপ চালাতে পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি শান্তনু মেল করে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, বনগাঁর পুলিশ সুপার এবং গাইঘাটা থানার ওসিকেও অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা শুরু করে তদন্ত করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রথমদফার ভোটের গাইডলাইন নাপসন্দ, নয়া রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের]
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংজ্ঞাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দিল্লি গিয়েছেন। বুধবার তাঁর সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা। এদিন গাড়িতে ওঠার সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, " শান্তনু ঠাকুর জোর করে ঘরে তালা দিয়ে রেখেছে। ফলে বড় মাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ দিতে পারিনি। ঘরের বাইরে থেকে প্রণাম করতে হয়েছে। আমার বড় দুঃখের দিন।
[আরও পড়ুন: কমিশনকে ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারী’ তকমা দিয়ে ‘দুই হিমন্তে’র গল্প শোনালেন অভিষেক]
এ বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "মমতা ঠাকুরের যা কর্মফল তা তাঁকে ভুগতে হবে। সম্পত্তির লোভে বড় মাকে খাট থেকে খেলে খুন করেছেন মমতা ঠাকুর। এ বিষয়ে মমতা ঠাকুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "বড়মাকে দেখাশোনা করত কে বা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা কে করেছিল তা মতুয়া সমাজের সকলেই জানেন। শান্তনু ঠাকুরের জীবনটাই মিথ্যায় ভরা।"