shono
Advertisement
Saif Ali Khan Sharmila Tagore

'সোনা ঘুমাল পাড়া জুড়াল...', হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর সইফের জন্য ঘুমপাড়ানি গান শর্মিলার!

হামলার ঘটনা জানতে পেরে প্রথমেই কী করেছিলেন মা শর্মিলা? প্রায় একমাস বাদে মুখ খুললেন সইফ।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 08:05 PM Feb 10, 2025Updated: 08:05 PM Feb 10, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ জানুয়ারি হামলার ঘটনার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বিগত একমাসে পতৌদিদের নিয়ে কম চর্চা হয়নি! স্বামীর উপর হামলা হওয়ায় সমালোচিত হতে হয়েছিল করিনা কাপুরকেও। নিরাপত্তা নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় মুম্বই প্রশাসনকেও। এবার যাবতীয় বিষয় নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন বলিউডের নবাব। সেই বিভীষিকাময় রাতের বর্ণনায় স্ত্রী করিনা কাপুর এবং দুই সন্তান জেহ-তৈমুর সকলের কথাই উঠে আসে তাঁর মুখে। ছেলে যখন হাসপাতালে মারাত্মক পরিস্থিতির সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, তখন মা শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore) কেমন প্রতিক্রিয়া ছিল? সইফের স্মৃতিচারণায় উঠে এল সেকথাও।

Advertisement

ঘটনার পরের দিন সাতসকালে মুম্বইয়ে পৌঁছন শর্মিলা ঠাকুর। প্রবীণ অভিনেত্রী সাধারণত দিল্লির বসন্ত বিহারেই থাকেন। এদিনও সেখানেই ছিলেন। তবে রাতের ঘটনার কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি বিমানে মুম্বই উড়ে আসেন। তারপরই সোজা লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছন। ছেলেকে দেখতে গিয়ে কী বলেছিলেন তিনি? সংবাদমাধ্যমকে এবার সেকথা জানালেন সইফ আলি খান। অভিনেতার মন্তব্য, "পরদিন অস্ত্রোপচারের পর আমি তখন অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। মা এসে আমার পাশে বসে দুটো হাত চেপে ধরলেন। গুন গুন করে গাইছিলেন। সম্ভবত কোনও ঘুমপাড়ানি গানই গাইছিলেন তিনি তখন। শৈশবে মাকে কোনওদিন দেখিনি আমার জন্য ঘুমপাড়ানি গান গাইতে। তবে হাসপাতালে সেদিন দেখলাম। এইসময়ে মা যা করেছেন, সেটা আগে কখনও করেননি। চিকিৎসকরা আশঙ্কায় ছিলেন, অস্ত্রোপচারের পর যেন আমার শরীরে কোনওরকম সংক্রমণ না ঘটে। সেকথা জানতে পেরে আমার হাসপাতালের ঘরে কাউকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দিতেন না মা শর্মিলা ঠাকুর।"

আততায়ীর সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করা কিংবা রক্তাক্ত অবস্থায় খুদে তৈমুরকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কি মা শর্মিলা রাগ করেছিলেন? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই সইফ জানালেন, "একদমই না। তৈমুর যে আমার সঙ্গে সেই রাতে ছিল, মা এতে সায়-ই দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম, মা হয়তো এই বিষয়টা নিয়ে মারাত্মক রাগারাগি করবেন যে কেন আমি ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে গেলাম। তবে পরে মায়ের কথা শুনে বুঝলাম, ভুল ভেবেছিলাম।" অভিনেতা জানান, শর্মিলা ঠাকুর নিজেই প্রশংসা করে তাঁকে বলেন যে, "খুব অল্প বয়সেই তুমি সন্তানকে কঠিন সময়টা দেখিয়ছ। আর তৈমুর কিন্তু আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে অনেক আলাদা।" সইফের সংযোজন, "আসলে মা বুঝতে পেরেছিলেন যে, সন্তানকে রক্ষা করতে যে কোনও বাবা এই পরিস্থিতিতে এমন কাজই করবে। হাজার হোক মায়ের মন। মা তো নিজেই আমাকে শৈশবে বলেছিলেন, কেউ যদি তোমাকে আঘাত করতে আসে তাহলে আমি রুখে দাঁড়াব। আমিও সেই কাজটাই করেছি জেহ-তৈমুরকে রক্ষা করতে। এটা মা-বাবার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। মা বুঝেছেন।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ঘটনার পরের দিন সাতসকালে মুম্বইয়ে পৌঁছন শর্মিলা ঠাকুর।
  • সইফের মন্তব্য, "পরদিন অস্ত্রোপচারের পর আমি তখন অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। মা এসে আমার পাশে বসে দুটো হাত চেপে ধরলেন।"
  • আমার হাসপাতালের ঘরে কাউকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দিতেন না মা শর্মিলা ঠাকুর: সইফ।
Advertisement