সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৫ লক্ষ টাকার সোনা-সহ দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক। বুধবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫০০ গ্রাম সোনাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাঁদের মধ্যে একজন থারুরের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তর। শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। চাপের মুখে এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন শশী।
শুল্ক দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে সোনা পাচারের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের একজন নিজেকে শশী থারুরের (Shashi Tharoor) আপ্তসহায়ক বলে দাবি করেন। জানা গিয়েছে, দুবাই ফেরত এক ব্যক্তিকে আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শশীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক শিবকুমার প্রসাদ (Shiv Kumar Prasad)। বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল তাঁর। সেখানে প্রবেশ করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু একটা প্যাকেট নিতে দেখা যায় শিবকুমারকে। যা দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরের কর্মীদের। এর পর তাঁদের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৫০০ গ্রাম সোনা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। তাঁদের আটক করা হলে শিবকুমার নিজেকে শশীর সহকারি বলে দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: পুঞ্চ হাইওয়ে থেকে খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, কাশ্মীরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে ১৫]
নিজের প্রাক্তন আপ্তসহায়কের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে শশী থারুর লেখেন, 'ধর্মশালায় প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সেখানেই এই গ্রেপ্তারির খবর আমার কানে আসে। উনি আমার প্রাক্তন আপ্তসহায়ক। এখন বিমানবন্দরে পার্ট টাইম কাজ করেন। তাঁর গ্রেপ্তারি আমায় অবাক করেছে। উনি ৭২ বছরের বৃদ্ধ। এমনিতেই অসুস্থ, ঘনঘন ওঁকে ডায়ালিসিস করাতে হয়। তবে কোনও অন্যায়কেই আমি প্রশ্রয় দেই না। আইন আইনের পথে চলবে।'
[আরও পড়ুন: শেষবেলায় বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে মোদি, বঙ্গবাসীর মন জিততেই স্বামীজি আবেগে শান, নাকি অন্য অঙ্ক?]
তবে শেষ দফা ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর চরম আকার নিয়েছে। তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্র থেকেই এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন শশী থারুর। ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারির পর এবার সোনা পাচারে গ্রেপ্তার কংগ্রেস সাংসদের আপ্তসহায়ক। সিপিএম ও কংগ্রেস উভয়েই ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার। ওরা সোনা পাচারকারীদের জোট।' উল্লেখ্য, এর আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে উঠেছিল সোনা পাচারের অভিযোগ।