সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: এখনও তিনি বিজেপি সাংসদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেস বা আরজেডির হয়ে নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বুধবার তেজস্বী যাদব ও রাবড়ি দেবীর ইফতার পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। সেখানেই এমন বোমা ফাটান শত্রুঘ্ন সিনহা।
২০১৪ সালে পাটনা সাহিব এলাকা থেকে জয়ী হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বছর চারেক আগের সেই জয়ের কথা ভোলেননি তিনি। বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি। তবে বিজেপি নয়, কংগ্রেস অথবা আরজেডির টিকিটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
[ শিক্ষামন্ত্রীর নাক-কান কেটে নেওয়ার হুমকি দিল কর্নি সেনা, কিন্তু কেন? ]
তেজস্বী ও রাবড়ি দেবীর আয়োজিত ইফতারে শত্রুঘ্ন সিনহা লালু প্রসাদ যাদবকে নিজের বন্ধু বলে দাবি করেন। জানান, ইফতার তাদের সঙ্গে কাটাতে পেরে তিনি খুশি। লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে বাক্যালাপও করেন তিনি।
এর আগে একাধিকার বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। মোদির রাজত্বকালে দলের অন্দরে যে ক্ষোভ বাড়ছে, সে কথাও গোপন রাখেননি শত্রুঘ্ন। তবে তাঁর দাবি, বেশিরভাগ মন্ত্রী নিজের পদ ও আখের গোছানোর কারণে মুখ খুলছেন না। নোটবন্দি নিয়েও নিজের ক্ষোভের কথা সর্বসমক্ষে বলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
[ তল্লাশি চালাতে গিয়ে উপত্যকায় শহিদ ১ জওয়ান, এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি ]
এছাড়া কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচার নিয়েও নিজের দলের সমালোচনা করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ কাউকে জ্ঞানী করে না। প্রধানমন্ত্রীর ধনশক্তি (সম্পদের ক্ষমতা) ও জনশক্তি (জণগনের ক্ষমতা) জনগণকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো জায়গায় স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন না। কিন্তু দলের সবাই জানে তিনি দলের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দলের সমর্থনকারী। এরপরেই তিনি আরজি জানান, কখনও সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করা উচিত নয়। সমস্ত ইস্যু অনেক ভালভাবে বলা যায়। নিয়মনীতি মেনে বোঝানো যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ‘মর্যাদা’ ও ‘গরিমা’ অক্ষুণ্ণ রাখা উচিত।