সুকুমার সরকার, ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের বহু চর্চিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামি লিগ। বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবার-সহ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মুজিবকন্যা। বুধবার সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়েছেন জননেত্রী হাসিনা। আওয়ামি লিগের সংসদ নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত সাংসদরা। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান সংসদের প্রোটেম স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এদিন সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আওয়ামি লিগের সাংসদদের পাশাপাশি শপথ নেন ৬২ জন নির্দল (আওয়ামি লিগের ডামি প্রার্থী) ও জাতীয় পার্টির (জাপা) ১১জন সদস্য। জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মহম্মদ কাদের-সহ ১১ জন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে শপথবাক্য পাঠ করেন। এদিকে জানা গিয়েছে, আজই আওয়ামি লিগের সংসদীয় দলের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে শাসকদলের ওই বৈঠক হয়। সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হন হাসিনা। বিষয়টি চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও শপথ নেওয়ার কথা। স্থানীয় সময় মতে আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন হাসিনা। তার আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করাও কথা রয়েছে হাসিনার।
[আরও পড়ুন: হাসিনার উত্তরসূরি কে? জল মাপছে ‘বন্ধু’ নয়াদিল্লি!]
এবারের ভোটে জয়ের পর শেখ হাসিনাই বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সরকারের প্রধান হিসাবে রেকর্ড গড়েছেন। এবারও তিনি দক্ষিণ জনপদ জেলা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে ভোটে লড়েছেন। হাসিনা ১৯৮৬ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪,২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও সাংসদ নির্বাচিত হন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করছে আওয়ামি লিগ। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হয়। ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে শাসকদল। এছাড়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসাবেও দেশের ইতিহাসে বেশি সময় দায়িত্ব পালনের রেকর্ডও রয়েছে মুজিবকন্যার ঝুলিতে।
চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনে জয়ের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।” এদিকে বাংলাদেশ সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চিন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। মঙ্গলবার বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।