সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ফের ভারতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দিল্লিতে পা রাখবেন তিনি। ভারত সফর শেষে ৯ থেকে ১২ জুলাই হাসিনা থাকবেন চিনে। কমিউনিস্ট দেশটি কিন্তু ভারতকে টপকে বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপনের জন্য তৎপর। আর বেজিং এই গতিবধির উপর নজর রাখছে দিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, চিনে যাওয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শলাপরামর্শ করে নিতে পারেন। তাই তাঁর এই সফর দুদেশের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মোদির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে আগামীকাল শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয় ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় সফরটি হবে সংক্ষিপ্ত। আগামী শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর অন্তত ১৪টি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে ১০টির বেশি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষর হতে পারে। এর মধ্যে অন্তত চারটির মেয়াদ শেষে পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা রয়েছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীর এত কম সময়ের মধ্যে দুই দফায় ভারত সফরের নজির নেই। কিন্তু এই সফর যে হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল।
[আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পাহাড়ি এলাকায় ধস, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মৃত ৯]
জানা গিয়েছে, সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ আগামীকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পরেরদিন শনিবার সকালে হাসিনাকে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর পর হাসিনা দিল্লির রাজঘাটের মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
গত ৯ জুন, রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছেন মোদি। দিল্লিতে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা। জানা গিয়েছে, আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে ও বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, সেসময় হাসিনার সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সময়েই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে আত্মিক সম্পরক গড়ে উঠেছিল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন হাসিনাও।