অর্ণব আইচ: ভোটের আগে শেখ শাহজাহানকে জেলে রাখতেই ষড়যন্ত্র! সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'-কে জেলবন্দি রাখতেই দিল্লি থেকে এসেছিলেন ইডির বিশেষ অফিসাররা। ঘনিষ্ঠ মহলে না কি এমনই দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান। তাঁর দাবি, এক ইডি অফিসারই একথা জানিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাজ্য় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। পরে অবশ্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। আপাতত জেলবন্দি তিনি। বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'। বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, ঘনিষ্ঠমহলে এবার আরও বিস্ফোরক দাবি করেছেন শাহজাহান। কী বলেছেন?
[আরও পড়ুন: শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শুরু মোদির, আবাস যোজনায় বড়সড় বদল?]
সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে শাহজাহানকে জেলবন্দি করার নির্দেশ ছিল। সেই মতো ষড়যন্ত্রও করা হয়। একথা নাকি এক ইডি অফিসারই শাহজাহানকে বলেছিলেন। সেই অফিসার নাকি জানিয়েছিলেন, 'ভোটের আগে জেলে রাখার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।' যদিও আদালতে এধরনের কোনও যুক্তি খাটেনি। বরং তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সোমবার শাহজাহানকে আদালতে তোলা হয়েছিল। পেশ করা হয়েছিল দেদার বক্স, আলমগীরদেরও।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ জানুয়ারি। ওইদিন সকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, শাহজাহানের দুটি নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। ওই নম্বর দুটি দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত ছিল। পরে একটি নম্বরে ফোন ধরেন শাহজাহান। ইডির কথা শুনে ফোন কেটে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই কমপক্ষে ২-৩ হাজার লোক জড়ো হয়ে যান। আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ইডির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। তার পর থেকেই সাম্রাজ্য ছাড়া হয়ে যান শাহজাহান। ইডির উপর হামলার এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় ২ টি এফআইআর হয়েছিল। একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের ভিত্তি। অন্যটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুজু করে পুলিশ।