shono
Advertisement
Grade 1 Heritage status

ঐতিহ্যের স্বীকৃতি, 'গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ' তকমা পেল বেহালার শিব মন্দির

মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবলিঙ্গটি প্রায় ২৫০ বছর পুরনো।
Published By: Subhankar PatraPosted: 05:31 PM Dec 07, 2024Updated: 05:31 PM Dec 07, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের কোণায় কোণায় লুকিয়ে ইতিহাস। ঐতিহ্যে ভরা কলকাতার অলি-গলিতে ছড়িয়ে অসংখ্য মন্দির। এবার এক ঐতিহাসিক মন্দিরকে হেরিটেজ তকমা দিল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী ভবনের তালিকায় স্থান পেল বেহালা আর্য সমিতি রোডের শিব মন্দির। এই মন্দিরকে 'গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ' হিসাবে তালিকাভুক্ত করল পুরসভা। স্বীকৃতি হিসাবে মন্দিরের গায়ে নীল ফলক লাগানো হয়েছে। এই তকমা পাওয়ায় খুশির হাওয়া এলাকাবাসী ও মন্দির পরিচালন সমিতির সদস্যদের মধ্যে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবলিঙ্গটি প্রায় ২৫০ বছর পুরনো। মোহিতমোহন হালদার ও ক্ষেত্রপদ হালদারের পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে মন্দিরের দেখাশোনা করছেন। এক সময়ে এই মন্দিরে পুজো করতেন অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর ঠাকুরদা সুশীল চক্রবর্তী।

উত্তরসূরি অলোক হালদারের সুপারিশে মন্দিরের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় ক্লাব বেহালা দেবদারু ফটককে। বর্তমানে হালদার পরিবারের অরূপ হালদার ও অরিজিৎ হালদারের সঙ্গে যৌথভাবে মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ করে এই ক্লাব। ১২ ডিসেম্বর বার্ষিক উৎসব পালন করা হয়। চলতি বছর সেই অনুষ্ঠানের আগে এই সম্মানে খুশি কর্তৃপক্ষ। শুধু বার্ষিক উৎসব নয়, মহা-সমারোহে পালন করা হয় শিবরাত্রি ও নীলপুজোও। উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। এই মন্দিরের লাগোয়া মাঠেই ধুমধাম করে বারোয়ারি দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়।

সাধারণত নীল ফলকের সাহায্যে ভবনের গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্য বোঝানো হয়। অনেক আগেই ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোর ইতিহাস ও তাৎপর্য সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য পুরসভা এই উদ্যোগ নিয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বেহালার এই শিব মন্দির।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • শনিবার কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী ভবনের তালিকায় স্থান পেল বেহালা আর্য সমিতি রোডের শিব মন্দির।
  • এই মন্দিরকে 'গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ' হিসেবে তালিকাভুক্ত করল পুরসভা।
  • স্বীকৃতি হিসাবে মন্দিরের গায়ে নীল ফলক লাগানো হয়েছে।
Advertisement