সুব্রত বিশ্বাস: পায়ের ছেঁড়া জুতো ফেলে একেবারে বিনা পয়সায় নতুন জুতো মিলল ধর্মতলায়। শনিবার বিকেলে ধর্মতলায় পুলিশের তাড়া খেয়ে পড়ি কি মরি করে ছুট দেন আইএসএফ (ISF) কর্মী-সমর্থকরা। ফেলে যান জুতো জোড়া। এক পাটি নয়, ফেলে যান দু’পায়ের জুতোই। আর কথায় আছে না, কারওর পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। আইএসএফ কর্মীদের ফেলে যাওয়া জুতোয় দিব্য পা গলালেন অফিস ফেরত বহু কেরানি থেকে বাবু। এমনকী, দূরপাল্লার বাস ধরতে ধর্মতলায় আসা পর্যটকরাও বাদ পড়লেন না এই তালিকা থেকে। খবর পেয়ে হাজির হয়েছিলেন চোরাবাজারের জুতো ব্যবসায়ীরাও। সবমিলিয়ে ‘রণক্ষেত্র’ শান্ত হতেই ধর্মতলায় যেন জুতোর মেলা বসে গিয়েছিল।
জুতোর উপর বসে অবরোধ করছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান তাঁরা। শেষে তাড়া খেয়ে রণে ভঙ্গ দেন নওয়াজ সিদ্দিকীর দলের ছেলেরা। তাই তাঁদের অনেকেরই দু’পাটি জুতোই পড়েছিল পাশাপাশি।
[আরও পড়ুন: হাতে চাবির গোছা, বাইপাসের ধারে আবাসনের নিচ থেকে উদ্ধার প্রাক্তন বিমানসেবিকার দেহ]
এরকম এক-আধটা নয়, শ’য়ে-শ’য়ে জুতো পড়েছিল ধর্মতলায়। যার মধ্যে দামি জুতোও ছিল বেশ কিছু। ফলে পথচলতি অনেকেই মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে একেবারে পায়ে ‘ফিট’ করে কিনা তা পরখ করতে দাঁড়িয়ে পড়েন। ফিট করে গেলেই কেল্লাফতে। সেই জুতোয় পা গলিয়ে পিঠটান দিচ্ছিলেন তাঁরা। ফেলে যাচ্ছিলেন নিজের পরে থাকা পুরনো জুতো।
শ’য়ে-শ’য়ে জুতো জমা করে পুলিশ। তৈরি হয় জুতোর পাহাড়। এক সঙ্গে দু’পাটি পাওয়ায় লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। ধোপদুরস্ত পোশাকে অনেকেই অপেক্ষা করেছিলেন সন্ধ্যের অন্ধকারের জন্য। আঁধার ঘনাতেই দু’এক পাটি পছন্দসই জুতো বগল দাবা করে নেন তাঁরা। খবর পেয়ে চলে আসে শিয়ালদহ-বৈঠকখানার চোরাবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীও। অনেকে শেষপর্যন্ত বস্তায় ভরে নেন জুতো। পরে পাটি মিলিয়ে বেছে নেবেন এই আশায়।