সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুকে একরাশ যন্ত্রণা। হয়তো তাঁর চোখটাও টুর্নামেন্ট চলাকালীন জলে ভরে উঠেছিল। তবু তিনি ছিলেন লক্ষ্যে স্থির। মাথায় ঘুরছিল প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) একটা কথা, “কেউ যদি কোনও কাজ হাতে নেয়, তবে সেই কাজটি শেষ না করা পর্যন্ত তার বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয়।” এই কথাগুলিই যেন জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন বান্ধবী সিংয়ের (Bandhavi Singh) কানে বারবার বাজছিল।
বান্ধবী প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী প্রয়াত মধুলিকার ভাইঝি। ভোপালে অনুষ্ঠিত জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১১টি পদক জিতে প্রয়াত সেনাধ্যক্ষকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সৌদি আরবে নিষিদ্ধ বিতর্কিত তবলিগি জামাত, চিহ্নিত হল ‘সন্ত্রাসবাদের আখড়া’ হিসেবে]
বুকে স্বজন হারানোর বেদনা। তবু প্রতিযোগিতা চলাকালীন হাত এতটুকু কাঁপেনি বান্ধবী সিংয়ের। বরং নিজেই নিজেকে বলেছিলেন, প্রতিটি ইভেন্টে সোনা জিততে হবে। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় শুটার বলছিলেন, “এই টুর্নামেন্টে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, সোনা জয়। যাতে প্রতিটি সোনা প্রয়াত বিপিনজিকে এবং ওঁর সঙ্গে প্রয়াত অন্য যোদ্ধাদের উৎসর্গ করতে পারি। আমি বিপিনজিকে নিজের মেন্টর এবং পথপ্রদর্শক হিসাবে চিরকাল মনে রাখব।”
গতবার শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে বান্ধবী আটটি পদক পেয়েছিলেন। সেবার তিনি পেয়েছিলেন পাঁচটি সোনা। বান্ধবীর বাবা যশবর্ধন সিং হলেন প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী প্রয়াত মধুলিকার ভাই। গত শুক্রবার চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হতেই দ্রুত দিল্লি উড়ে যান প্রয়াত সিডিএস রাওয়াত এবং মধুলিকার শেষকৃত্যে অংশ নিতে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে .২২ ক্যালিবার ও ৫০ মিটার ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বান্ধবী।