সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ গুলির লড়াই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহত সাতজন। আহত কমপক্ষে ১০।
[আরও পড়ুন: Bangladesh Violence: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জের, ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত]
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের থাইনখালির বালুখালি ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লা হত্যার ২৩ দিনের মাথায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। মনে করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। কী কারণে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে রোহিঙ্গাদের একাংশের দাবি, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্য এই লড়াই হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত রোহিঙ্গাদের নাম হচ্ছে উখিয়ার বালুখালি ২ নম্বর ক্যাম্পের মহম্মদ ইদ্রিস (৩২), বালুখালি ১ নম্বর ক্যাম্পের ইব্রাহিম হোসেন (২২), বালুখালি ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের আজিজুল হক (২৬) ও মহম্মদ আমিন (৩২), রোহিঙ্গা শিবিরের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া’ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২-এর নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), মাদ্রাসা শিক্ষক ও ক্যাম্প-২৪-এর হামিদুল্লা (৫৫) ও মাদ্রাসা ছাত্র ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক- এইচ- ৫২-এর নুর কায়সার(১৫)।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ায় ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা। হামলার নেপথ্যে মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি’ রয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির কয়েকজন সদস্যের নাম উঠে আসে। এই ঘটনায় পরদিন মুহিবুল্লার ভাই হাবিবুল্লা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। সবমিলিয়ে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে সন্ত্রাসবাদীদের দাপট বাড়ায় সংঘর্ষের আরও ঘটনা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।