কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: বাটলা হাউস এনকাউন্টারের ছায়া খাস কলকাতায় (Kolkata)! নিউটাউনের বহুতল আবাসনে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ভিনরাজ্যের ‘গ্যাংস্টার’দের খোঁজে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ ও এসটিএফের বিশাল বাহিনী। সঙ্গী ছিল বিধাননগর পুলিশও। প্রাথমিক সূত্রে খবর, পুলিশের গুলিতে ২ ‘গ্যাংস্টারে’র মৃত্যু হয়েছে। পালটা গুলিতে জখম এক পুলিশ কর্মীও। তিনি নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সন্ধে পর্যন্ত গোটা এলাকা ঘিরে রাখে বিশাল পুুলিশবাহিনী। ওই বহুতল আবাসনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ যৌথবাহিনী বহুতল আবাসনের বি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। পুলিশ কর্মীরা আবাসনের নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট ঘিরে ফেলতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। পালটা গুলি ছোঁড়ে এসটিএফও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিউটাউনের বহুতল আবাসনে গুলির লড়াই চলছে। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। হাজির রয়েছেন এসটিএফের মাথারাও। চলছে তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পাশে আছি’, বৈঠকের পর কৃষক নেতাদের আশ্বাস মমতার]
পুলিশ সূত্রে খবর, ভিনরাজ্যের ‘দুষ্কৃতী’রা এই এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল। মূলত আগ্নেয়ান্ত্র চোরাচালানে অভিযুক্ত ছিল তারা। আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালানের ডিল ফাইনাল করতেই তারা এ রাজ্যে এসেছিল বলে সূত্রের খবর। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বিহার থেকে বীরভূম হয়ে এ রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হচ্ছিল। কয়েক দিন আগে এই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে এই দুই দুষ্কৃতীর খবর পায় পুলিশ। জানতে পারে নিউটাউনের বহুতলেই ঘাঁটি গেড়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানার এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। গত দুদিন ধরে তাদের খোঁজ চালাচ্ছিল এসটিএফ। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এদিন নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে হানা দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, নিহত ২ গ্যাংস্টারের নাম জসপ্রীত জসসি এবং জয়পাল ভুল্লার। এর মধ্যে ভুল্লারের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবে পুলিশ কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে।
কলকাতা লাগোয়া অভিজাত আবাসনে যেভাবে দিনেদুপুরে এনকাউন্টার হল তা এক কথায় নজিরবিহীন। শেষ কবে কলকাতা শহরে এমন ঘটনা ঘটেছে তা মনে করতে পারছেন না বাসিন্দারা।