সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত রাজ্যের একাংশ। চারপাশে ধ্বংসস্তূপের করুণ ছবি দেখে ব্যথিত সকলেই। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সেই বেদনা চেপে রাখতে পারেননি জগদীপ ধনকড়ও। তা প্রকাশ করে টুইটও করেছিলেন। তবে তাঁর আজকের টুইটে ফের উঠে এল রাজ্য সরকারের সমালোচনা। রাজ্যপাল লিখলেন, রাস্তা সাফাইয়ে আরও তিনদিন আগেই সেনা নামানো উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের।
শনিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তর টুইট করার পরপরই সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল – সকলে। রাত থেকেই কাজে নেমে পড়েছেন তাঁরা। শহর কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন অংশে ভেঙে পড়ে থাকা বড় বড় গাছ সরিয়ে দেওয়ার কাজ চলেছে। রবিবার সকালেই সেই কাজ চলছে। জলপাইরঙা পোশাক পরা বাহিনীর সেই কাজের ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে জগদীপ ধনকড় লেখেন, আমফান আছড়ে পড়ার আগে থেকেই সেনাবাহিনী পুরোদমে প্রস্তুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অনেক পরে তাঁদের কাজে নামিয়েছে। মাঝে এতজন মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হল। সেনা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দারুণ কাজ করেছে।
[আরও পড়ুন: আর ফোনে নয়, ভিক্টোরিয়া হাউসে গিয়ে CESC আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেন মমতা]
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বাংলায় টুইট করে লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়কে অনুরোধ করেছিলাম, রাজ্যপালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। সেটা রাখলে তিনদিন আগেই সেনা নামানো যেত। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক তথ্য দিন, অতিরঞ্জিত হিসেব দিলে তার ফল উলটো হবে – এই মর্মেও কার্যত হুঁশিয়ার করেছেন ধনকড়।
আজ সকালে রাজ্যপালের এহেন একাধিক টুইট দেখে কিছুটা স্তম্ভিত অনেকেই। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এমন বিপর্যয়ের সময়, যখন দ্রুত সব স্বাভাবিক করার মরিয়া চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন, তখনও কি এই সমালোচনা এড়াতে পারতেন না রাজ্যপাল?
The post রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে তিনদিন আগেই সেনা নামানো যেত, সরকারকে বিঁধে টুইট ধনকড়ের appeared first on Sangbad Pratidin.