সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ আলোচনা, মান-অভিমানের পালা শেষে কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করল কংগ্রেস (Congress)। ডিকে শিবকুমার নন, দক্ষিণের রাজ্যটিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পছন্দ প্রবীণ সিদ্দারামাইয়া। শিবকুমারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণে রাজি করানোর চেষ্টা করছে হাত শিবির।
কর্ণাটকে ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৫ আসন জিতে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে কংগ্রেস। অথচ এহেন সাফল্যের পরও গত দু-তিন ধরে অস্বস্তির বাতাবরণ ছিল হাত শিবিরের অন্দরে। প্রকাশ্যে কেউ কাউকে কটাক্ষ না করলেও কন্নড় রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) একে অপরকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি ছিলেন না। সিদ্দা দিন তিনেক আগে থেকেই দিল্লিতে পড়ে ছিলেন। আর ডিকে দিল্লিতে রয়েছেন মঙ্গলবার থেকে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পালটা বিজেপির নারায়ণ ভাণ্ডার! ঘোষণা সুকান্তর]
মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠকেও সমাধানসূত্র বের হয়নি। আসলে কংগ্রেসের সিংভাগ বিধায়ক সিদ্দারামাইয়ার পক্ষে। আবার ডিকে শিবকুমার (DK Shivkumar) দলকে বহু সংকট থেকে উদ্ধার করেছেন। কর্ণাটকে কংগ্রেসকে জেতানোর পিছনে তাঁর কৃতিত্ব কোনও অংশে কম নয়। তাছাড়া আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রয়োজন হবে দলের। তাই তাঁকে কোনওভাবেই চটাতে রাজি ছিল না কংগ্রেস হাইকন্যান্ড। এই নিয়ে দু’দিন ধরে চলছিল আলোচনা। শেষমেশ বেশি বিধায়কের সমর্থন থাকাই সিদ্দাই এ যাত্রা হাইকম্যান্ডের সম্মতি পেলেন।
[আরও পড়ুন: এগরা কাণ্ডে আদালতে শুভেন্দু, বাজি ব্যবসায়ীর ভাই বাদে সব গ্রামাবাসীকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস]
ডিকে শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ না পেলে তিনি কোনওরকম মন্ত্রিত্ব নেবেন না। একজন সাধারণ বিধায়ক হিসাবে কাজ করবেন। কিন্তু কংগ্রেস হাইকম্যান্ড শুরু থেকেই চাইছিল তিনি অন্তত উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ সভাপতির পদে থাকুন। একই সঙ্গে তাঁকে এবং তাঁর অনুগামীদের ভাল ভাল মন্ত্রক দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন খাড়গে, রাহুল গান্ধীরা (Rahul Gandhi)। সেই প্রস্তাব ডিকে মেনেছেন কিনা, সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, একটা জিনিস নিশ্চিত, এ যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়াই।