সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ। ঘরের বাইরে পা রাখলেই জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছেন? অতঃপর আইসক্রিমের স্টল বা দোকান দেখলেই নিজেকে সেদিকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তো? আর এক কামড় দিয়ে মুখে পড়লেই পুরো স্বর্গ! তবে সাবধান! এই ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ এফেক্টের নেপথ্যে কিন্তু অজান্তেই নিজের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছেন।
আইসক্রিম খেতে ভালবাসেন না, আট থেকে আশির এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তবে এই ঠান্ডা ডেজার্ট গলাধঃকরণ ডেকে আনতে পারে আপনার জীবনে বিপদ। কারণ এর উপকারিতার থেকে অপকারিতার মাত্রা অনেক বেশি। কীরকম? জেনে নিন তাহলে।
১) ডায়াবেটিক রোগীরাও আইসক্রিম খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যা শরীরে ক্য়ালরির মাত্রা বাড়ায়। অতঃপর ক্যালরি বাড়লে ওজনও বৃদ্ধি পাবে, সেটাই স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: হেঁশেলের আম ‘বাত’, ফলের রাজার রকমারি রেসিপি, খেলেই গরমে শরীর চাঙ্গা]
২) আধ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিমে প্রায় ২৫ এমজি কোলেস্টেরল থাকে। অতঃপর গোটা একটা আইসক্রিম খেলে আপনার শরীরে কতটা পরিমাণ কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়বে, তা আঁচ করতে পারছেন? তাই আপনার রক্তে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হয়, আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন। তাছাড়া, নিত্যদিন আইসক্রিম খাওয়া কাজের কথা নয়।
৩) যেসমস্ত উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম তৈরি হয়, তাতে প্রচুর মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা শরীরে এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি বিশেষ এনজাইম উৎপাদন করে স্ট্রেসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে শরীরকে বাঁচায়। তবে সেই সঙ্গেই ডেকে আনে ওজন বাড়ানোর মতো বিপদ। যার ফলে শরীরে ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, কোলেস্টেরলের মতো রোগ অচিরেই বাসা বাঁধে।
৪) এছাড়াও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আইসক্রিম খাওয়ার মাত্রা বেশ কিছু নার্ভের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা হয়। স্মৃতিশক্তিও কমতে পারে।