সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। ভোল পালটে এবার আরও ঘাতক রূপ নিয়েছে ভাইরাসটি। এহেন পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুরের একাধিক শিশুর শরীরে ভারতীয় স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। ফলে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে বুধবার থেকে সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: সেনাশাসনে দমবন্ধ দেশের! মিস ইউনিভার্সের মঞ্চেই প্রতিবাদ মায়ানমারের সুন্দরীর]
রবিবার ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন জানায় যে আগামী বুধবার থেকে মে মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্কুল এবং জুনিয়র কলেজগুলিকে আপাতত বাড়ি থেকেই পড়াশুনা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং বলেন, “B.1.617 অর্থাৎ ভারতীয় স্ট্রেন দেশের একাধিক অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা।” শিক্ষামন্ত্রী চাং চুন সিং বলেন, “পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এই নয়া স্ট্রেনে অনেক শিশু আক্রান্ত হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য টিকাদানের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিগত কয়েকমাসে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে উঠেছিল সিঙ্গাপুর। কিন্তু এবার নয়া স্ট্রেনের দেখা মিলায় রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনার (Corona virus) B.1.617 স্ট্রেনকে ‘গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই ভারতীয় স্ট্রেনের বিরুদ্ধে করোনা টিকা কতটা কার্যকর হবে তা এখনও অনিশ্চিত বলে জানায় সংস্থাটি।‘হু’ জানাচ্ছে, B.1.17 স্ট্রেনটি ব্রিটেনে (Britain) পাওয়া গিয়েছিল। আর ভারতে মিলেছিল B.1.617 স্ট্রেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে এরা দুর্বল হতে শুরু করেছে। তার বদলে আরও বিপজ্জনক হতে শুরু করেছে ভারতীয় স্ট্রেনটির দুই রূপভেদ B.1.617.1 ও B.1.617.2। প্রাথমিক বিশ্লেষণ থেকে পরিষ্কার, এই দুই স্ট্রেন খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এই স্ট্রেনের উপরে টিকা ও ওষুধের প্রভাবের বিষয়টা এখনও অনিশ্চিত। প্রসঙ্গত, ভারতের B.1.617 স্ট্রেনটি দেশে প্রথম দেখা গিয়েছিল অক্টোবরে। এই মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়েছে ৪৪টি দেশে। এই স্ট্রেন থেকে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। এবং অ্যান্টি বডির প্রভাবও এর উপরে অনেক কম।