সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ায় স্ট্রবেরি মিল্ক ও কফি বিক্রির জের। এক ব্যক্তিকে জেলের সাজা দিল সিঙ্গাপুরের আদালত। উল্লেখ্য, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে বিপুল পরিমাণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লাগু রয়েছে উত্তর কোরিয়ার উপর।
এএফপি সূত্রে খবর, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একনায়ক কিম জং উনের (Kim Jong Un) দেশে পণ্য বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন ফুয়া জে হি নামের ৫৯ বছরের ওই ব্যক্তি। নিজের দোষ স্বীকার করার পর গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ওই ব্যক্তিকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার নথি থেকে জানা গিয়েছে, ফুয়া জে হি সিঙ্গাপুরের নরম পানীয় প্রস্তুতকারী কোম্পানি পোক্কা ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি ওই পদে থাকার সময় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশের আইন অমান্য করে উত্তর কোরিয়ায় স্ট্রবেরি ফ্লেভারড দুধ ও কফি পাঠিয়েছিল পোক্কা ইন্টারন্যাশনাল। যে পরিমাণ পণ্য ওইসময় সেখানে পাঠানো হয়েছিল, বর্তমানে তার বাজারমূল্য ১০ লক্ষ ডলার।
[আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে অতিথি করেছিলেন’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা জয়শংকরের]
মামলার নথি অনুযায়ী, চোরাই পথে উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) এসব পণ্য পাঠানোর সঙ্গে যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী যুক্ত তাদের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করেছিল কোম্পানিটি। এই লেনদেন থেকে কোনও কমিশনও নেননি ফুয়া জে হি। কেবল কোম্পানির পণ্য বিক্রির টার্গেট পূরণের জন্যই এই কাজ করেছিলেন তিনি। তবে শুধু দুধ বা কফি নয়, সিঙ্গাপুর থেকে পিয়ংইয়ংয়ে ওয়াইন, হুইস্কি এবং পারফিউম পাঠানোও নিষিদ্ধ। পরমাণু এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রসংঘ-সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সালে একটি আইন পাস করে সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট। সে আইনে উত্তর কোরিয়ায় নরম পানীয়, কফি, মদ ও সুগন্ধিজাতীয় পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার দাবি, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কিম। এর আগে ২০০৬ সালে তারা প্রথম বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করেছিল। পরবর্তী ১১ বছরে ৬ বার তারা এমন পরীক্ষা করলেও ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর এই ধরনের কোনও পরীক্ষা করেনি। কিন্তু এবার ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করতে উদ্যত উত্তর কোরিয়া। আসলে কিমের দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি চায় আমেরিকার থেকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই ভাবে ওয়াশিংটনের উপরে চাপ প্রয়োগ করে কূটনৈতিক মঞ্চে সুবিধা আদায় করাই লক্ষ্য তাদের।